বাংলাদেশে রিমান্ডে যা হয় !
জনপ্রিয় কলামিস্ট, সাবেক বিচারক ইকতেদার আহমেদ বাংলাদেশে পুলিশ রিমান্ড সম্পর্কে বলেন, ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান অনুযায়ী পুলিশ একজন অপরাধীকে রিমান্ডে নিতে পারে; তবে পুলিশ স্ব-উদ্যোগে কখনো কোন অপরাধীকে রিমান্ডে নিতে পারে না। কোন ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিতে হলে ম্যাজিস্ট্রেটের এর পূর্বানুমতি প্রয়োজন রয়েছে। রিমান্ড দুই ধরণের। এক ধরণের হলো গ্রেফতার পরবর্তী পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদন করে আর অপরটি হলো কোন ব্যক্তি কারাগারে থাকা অবস্থায় রিমান্ডের আবেদন।
তিনি বলেন, আমরা সচরাচর দেখি, যে সব মামলায় স্বাক্ষ্য অপ্রতুল, এবং প্রমাণ হওয়ার আশংকা থাকে সে সকল ক্ষেত্রে রিমান্ড চাওয়ার নিয়ম। আমাদের দেশে দেখেছি গ্রেফতারের পরই পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করে। আমরা গনমাধ্যমে যা শুনতে পাই, রিমান্ডে নিয়ে আসামীকে শারিরকি ও মানসিক নির্যাতন করে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫, ক্লজ ৫ এ বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেয়া যাবেনা অথবা কারো সাথে অমানবিক অথবা অবমাননাকর আচরণ করা যাবেনা বা ব্যবহার করা যাবেনা।
আমাদের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান নির্যাতন অনুমোদন করেনা। পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে যে অত্যাচার করে তা আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। এটাও কিন্তু নিয়ম, একজন ব্যক্তিকে কি কারণে গ্রেফতা করা হয়েছে তা জানানো এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটবর্তী আদালতে উপস্থাপন করতে হবে।
পুলিশ হেফাজতে দীর্ঘদিন রেখে তারপর রিমান্ডের আবেদন করে এবং রিমান্ডে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখা যায়না। কিন্তু পুলিশ একটি মামলার রিমান্ড শেষ হলে অন্য একটি বিশেষ মামলার আবেদন করে এবং এভাবে দীর্ঘদিন রাখে। দীর্ঘদিন রাখা আইন পরিপন্থী কাজ। কিন্তু পুলিশ এটা করে যাচ্ছে, যে কারণে পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।