fbpx
হোম তারুণ্য তরুণ নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হবে বাংলাদেশ
তরুণ নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হবে বাংলাদেশ

তরুণ নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হবে বাংলাদেশ

0

তরুণ নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বয়সে তরুণ। এক কথায় তরুণদের স্বর্ণযুগ অতিক্রম করছে দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সচেতন, উদীয়মান, স্বপ্নবাজ তরুণরা জানান দিচ্ছেন তারা দেশকে এগিয়ে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু পশ্চাদপদ ও আধুনিক চিন্তার  অনুপযোগী নেতৃত্ব তাদেরকে সুযোগ দেবে?

স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই, তবু দুর্ভাগ্য এ জনপদের, সমকালীন রাষ্ট্রসমূহের উন্নত হবার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে এবং প্রতিকূল পথ পরিক্রমা শেষ হচ্ছেনা। দেশ পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ ছিল দক্ষ নেতৃত্বের সংকট।

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আসলে বড় দলগুলো কতিপয় অপেক্ষাকৃত কম বয়সী ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়ে এবং কেবিনেটে স্থান দিয়ে তরুণ নেতৃত্বের যে বাজনা বাজায়, তা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক ও ভিন্ন ধাচের নেতৃত্বের জন্য তরুণরা প্রায় প্রস্তুত। এখন শুধু প্রয়োজন সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা।

শিক্ষিত তরুণ সমাজের একটি বৃহৎ অংশ সত্যিকার অর্থেই সৎ চিন্তা করেন, নৈতিকতার প্রশ্নে দৃঢ়চেতা, দেশপ্রেমের বাস্তবধর্মী অনুপ্রেরণায় উদ্দীপ্ত তারা, ইতিহাসের মিথ্যা আলেখ্য প্রত্যাখ্যান করতে স্বংকল্পবদ্ধ, মিথ্যা আর অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে বহুমুখী দক্ষতায় সমৃদ্ধ, জ্ঞান চর্চায় অনন্য একটি বলিষ্ঠ তরুণ সমাজ এখন চ্যালেঞ্জ নিতে চান দেশকে এগিয়ে নিতে।

দেশকে এখন অন্ধের হাতি দর্শনের মত চলতে দিতে চাননা তারা। বিশ্বায়নের যুগে গোটা বিশ্বের উন্নয়ন আর নেতৃত্বের স্বরূপ অনুসন্ধানে বাংলাদেশের কোটি- কোটি তরুণ-তরুণীর বিচক্ষণ চোখ চষে বেড়ায় ভার্চুয়াল জগত। এই তরুণরা সুবিচার ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সদা সজীব।

বাংলাদেশের তরুণরা নিজেকে প্রস্তুত করেছে। কিন্তু ভালো স্পেস বা প্লাটফর্ম পচ্ছেননা তারা। লেজুড়বৃত্তির নোংড়া ছাত্র রাজনীতির কোন প্লাটফর্ম তারা মেনে নিতে পারেননা। সুশীল ও নাগরিক সমাজও তাদের জন্য কোন আলোর মঞ্চ তৈরী করতে পারেনি। স্ব-উদ্যোগে প্রস্তুত এসব তরুণরা দেশ বিনির্মাণ করতে চান।

বিবেকের তাগিদে কখনো তারা সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য, কখনো শিক্ষার পরিবেশের জন্য আবার কখনো জাতীয় স্বার্থ স্বংশ্লিষ্ট ইস্যুতে ভিন্ন-ভিন্ন নামে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যাচ্ছেন। নেতৃত্বের বার্তা দিতে শুরু করেছেন তারা। তাদের জন্য সঠিক স্পেস না থাকায়, স্পেস আদায়ের আন্দোলনেও সম্পৃক্ত তারা। এই তরুণরা নতুন ধ্যান ধারনা পোষণ করেন এবং প্রযুক্তির স্মার্ট ব্যবহার জানেন।

সারা পৃথিবীর ইতিহাসে বাস্তবে তরুণরাই বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সকল সেক্টরে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছেন। ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে শিল্পের সকল শাখায় এবং যুদ্ধ জয়ে ও রাষ্ট্র বিপ্লবে তারুণ্যের অবদানই বেশী।

বর্তমান বিশ্বের বহুদেশে তরুণরা রাষ্ট্র প্রধানের ভূমিকায় আছেন। এমনকি পারমাণবিক শক্তিধর এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের মত শক্তিশালী দু-একটি দেশের প্রধানরাও বয়সে অপেক্ষাকৃত তরুণ। কাজেই তরুণরা এখন নতুন দিনের নেতা। দেশ পরিচালনায় তারা অবদান রাখতে চান। বাংলাদেশে সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি নতুন বসন্ত সৃষ্টির পথে বিকশিত হতে চান কোটি কোটি তরুণ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *