ট্রেন ও রেলস্টেশনে পান-জর্দার ব্যবহার ও ধূমপান করলে শাস্তি: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছেন, রেলস্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের ভেতরসহ রেল স্থাপনা ধূমপান ও তামাকমুক্ত এলাকা। কেউ আইন অমান্য করে ধূমপান বা তামাক গ্রহণ করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বুধবার রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত ‘ইনিশিয়েটিভ টু মেক বাংলাদেশ রেলওয়ে টোব্যাকো ফ্রি’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বলেন, শুধু আইন করে, প্রচারণা বাড়িয়ে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যদি তামাকের উৎস বন্ধ করা না যায়। ট্রেনে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া নিষেধ। রেল ভ্রমণের শুরুতেই যাত্রী যাতে তামাক জাতীয় দ্রব্য নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে না পারে, তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মাঠপর্যায়ে পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এটি কার্যকর করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়নের অর্থায়নে সম্পূর্ণ অনুদানের ভিত্তিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশু, নারী, অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী নারীসহ অধূমপায়ী যাত্রীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেওয়া।
পানের পিকমুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রেলস্টেশন ও ট্রেনের অভ্যন্তরে পান-জর্দা, সাদা পাতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তামাক ও ধূমপানমুক্ত রেলওয়ে গড়ে তোলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইসরাত চৌধুরী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক হামিদুর রহমান খান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এ ছাড়া রেলের পক্ষে সংস্থাটির মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য দেন।