ওষুধ প্রশাসন মিথ্যা বলছে: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
করোনার থাবায় বিপর্যস্ত এই পৃথিবী। লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে এই করোনা ভাইরাসে। আক্রান্ত ৩০ লাখেরও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি দেশে লকডাউনসহ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতিরোধের ব্যবস্থাও চলছে।
বাংলাদেশেও করোনা প্রতিরোধে চলছে নানা উদ্যোগ। বিশেষ করে করোনা রোগী শনাক্তের জন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষা ব্যবস্থা সংকটের কারণে করোনার সঠিক হিসেব মিলছেনা, ফলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে করোনা রোগী শনাক্তের প্রকৃত চিত্র। কেনোনা করোনা পরীক্ষার জন্য অন্যতম প্রক্রিয়া হচ্ছে কিট। যা দিয়ে জানা যায়, মানুষের দেহে করোনা ভাইরাস আছে কিনা।
বাংলাদেশে এসবের স্বল্পতার কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশেই কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা দিলে বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকারের মধ্যে যেনো আলোর খবর পেয়েছিল। এরপর তা নিয়ে পরীক্ষাগারে চলে কাজ। সরকারের বিশেষ সহযোগীতা পেলে এই কিট পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করারও ঘোষণা দেন তিনি। ইতিমধ্যে সেই কিট উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তা হস্তান্তরের জন্য গণস্বাস্থ্য থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও ওষুধ প্রশাসন থেকে কেউ কিট নিতে না আসায় শুরু হয় নানা বিতর্ক।
গতকাল কিট না নেওয়ার ব্যাখ্যাও দিলেন ওষুধ প্রশাসনের ডিজি। তিনি কিট না নেওয়ার বেপারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য অস্বীকার করে মিথ্যা বলেও আখ্যা দেন এবং এনিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর কথা দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান।
এদিকে এমন অভিযোগের বিষয়ে চেঞ্জ টিভির সঙ্গে একান্ত টেলিফোনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ওষুধ প্রশাসনের ডিজি একেবারে অজ্ঞ লোক। তারা অজ্ঞতাপ্রসূত অন্যদের শেখানো কথা বলছে।
বলেন, কখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্য দেশের ওষুধের অনুমোদন দেয়না। যেটা তিনি বলেছেন তা বলে তিনি অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ওনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি কোনো রেসপন্স করেননি। যদি দেশে কিট ব্যবহার না হয় তাহলে অন্য কিছু ভাবতে হবে বলেও জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিস্তারিত…https://www.youtube.com/watch?v=ejqlCCDwESg&t=174s