ওআইসির ভূমিকা নিয়ে যা বললেন এরদোগান
পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতে প্রকাশ্যে বা গোপনে যারা ইসরায়েলি রক্তপাত ও বর্বরতাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তাদের সতর্ক করে হুশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
গতকাল শুক্রবার নিজ দল একে পার্টির এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি বলেন, যারা চুপ থেকে কিংবা প্রকাশ্যে ইসরাইলি রক্তপাতকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, জেনে রাখা উচিত, একদিন তাদেরও পালা আসবে।
চলমান এই ইস্যুতে অর্গানিজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের ভূমিকা নিয়ে এরদোগান বলেন, ওআইসি যদি ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে জোরালে অবস্থান না নেয় তাহলে এই জোট তার নিজের অস্তিত্বকেই বিনষ্ট করবে।
এ সময় অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, পুরো দুনিয়া ইসরাইলি ধ্বংসযজ্ঞ উপেক্ষা করে গেলেও তুরস্ক কখনও এটি মেনে নেবে না।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ক্ষুব্ধ এরদোগান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে শান্তিপূর্ণ রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে সমাধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের হামলার ঘটনায় আমি ভারাক্রান্ত ও ক্ষুব্ধ। ফিলিস্তিনের শহরগুলোতে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ও মানবতার সম্মান রক্ষার জন্য জেরুজালেমের পাশে দাড়ানো কর্তব্য।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। গত সোমবার থেকে এ অঞ্চলে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি জঙ্গি-বিমান। এ পর্যন্ত কয়েকশ বার বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ শিশু ও ২০ নারীসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬ জনে। আজও নতুন করে ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ৯২০ ফিলিস্তিনি।।
জানা যায়, ইসরায়েলে হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে শুক্রবার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ৪০ মিনিট ধরে চলা এ হামলায় নতুন করে আরও নিহতদের মধ্যে তাদের মধ্যে এক মা ও তার তিন শিশু ছিলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।