৭০০ কোটি বছর আগের ব্লাক হোলের খোঁজ !
দেড় হাজার বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন এই গবেষণায়। তাদের গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক স্ট্যাভরোস কাৎসানেভাস বলেন, ‘ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর কীভাবে তৈরি হয়, সে রহস্য সমাধানে হয়তো মুখ্য ভূমিকা নেবে এই আবিষ্কার।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ৭০০ কোটি বছর আগে যখন এই কৃষ্ণগহ্বরটির জন্ম হয়েছিল, তখন ব্যাপক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছিল। দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষে ওই তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল। কৃষ্ণগহ্বর দুটি জুড়ে গিয়ে ‘জিডব্লিউ ১৯০৫২১’-র জন্ম হয়।
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আরেক বিজ্ঞানী মাইকেলা বলেন, বিগ ব্যাংয়ের পরে এত শক্তিশালী মহাজাগতিক বিস্ফোরণের ঘটনা জানা নেই। তবে কৃষ্ণগহ্বরটির আসল বিশেষত্ব হলো এর বিশালাকার। বলা ভালো, এমন বিশালাকৃতি কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলল এই প্রথম।
বৈজ্ঞানিক ভাষায় যাকে বলে ‘ইন্টারমিডিয়েট মাস ব্ল্যাক হোল’। সূর্যের থেকে ১০০-১০,০০০ গুণ বড় ভরের কৃষ্ণগহ্বরগুলোকে এই নামে ডাকা হয়। সূর্যের ৩-১০ গুণ বড় কৃষ্ণগহ্বরগুলোকে বলা হয় ‘স্টেলার ব্ল্যাক হোল’। নতুন আবিষ্কৃত ‘জিডব্লিউ ১৯০৫২১’-র ভর সূর্যের প্রায় ১৪২ গুণ।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মিল্কি ওয়েসহ বহু ছায়াপথের মধ্যিখানে অবস্থিত এই ‘সুপারম্যাসিভ’ কৃষ্ণগহ্বরটি।