সড়ক দুর্ঘটনায় এককভাবে চালকরা দায়ী নয়: শাজাহান খান
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য এককভাবে চালকরা দায়ী নন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, জনসচেতনতার পাশাপাশি চালকদের ট্রেনিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা দিলেই অনেক দুর্ঘটনা কমে আসবে। ড্রাইভারদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, সেগুলো না দিয়ে যদি বলি, বেপরোয়া গাড়ির জন্য দুর্ঘটনা হয়, এ জন্য ড্রাইভার দায়ী। আমি অস্বীকার করব না যে ড্রাইভাররা বেপরোয়া গাড়ি চালায় না। কিন্তু এ জন্য ড্রাইভারদের এককভাবে দায়ী করা যাবে না। ড্রাইভারদের ট্রেনিংসহ সকল সুযোগ-সুবিধা দিলেই অনেক দুর্ঘটনা কমে আসবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘আকাশ-সড়ক-রেল-নৌপথে দুর্ঘটনার সংখ্যা, কারণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সভায় শাজাহান খান এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম।
শাজাহান খান আরও বলেন, এমন যদি কেউ মনে করেন যে সড়ক দুর্ঘটনা একেবারে শূন্যের কোটায় নেমে আসবে, তা হবে না। পৃথিবীতে কোনো দেশ নেই, যেখানে সড়ক দুর্ঘটনা হয় না। যেসব দেশে সর্বনিম্ন দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানে বছরে ২ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
তিনি বলেন, শুধু গাড়িচালকদের ওপরে আইন প্রয়োগ করে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য জনসচেতনতা দরকার। রাস্তা দিয়ে পারাপারের সময় মুঠোফোনে কথা না বলা, যত্রতত্র পারাপার না হওয়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার জন্য শুধু ড্রাইভাররা দায়ী নন। রাস্তার মাঝখান দিয়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে হেঁটে যাবেন, একটা গাড়ি হঠাৎ এসে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ড্রাইভারের দোষ—এই বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে। ঢাকা–সিলেট, ঢাকা-খুলনাসহ উত্তরবঙ্গের ঢাকাগামী ট্রাক ও লং রোডে যেসব ট্রাক চলাচল করে, সেসবের চালকদের দিনের পর দিন রাস্তায় থাকতে হয়। তাদের বিশ্রাম নেওয়ার কোনো জায়গা নেই, খাওয়ার জায়গা নেই, থাকার জায়গা নেই।