লাশ দাফনের পর করোনা ভাইরাস শনাক্ত; এলাকা লকডাউন
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর হওয়ায় লকডাউনের আওতায় পড়েছে এলাকাটির ১০০ পরিবার।
গতকাল রাত ১০টার দিকে জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন বন্দর উপজেলার রসুলবাগের একাংশ লকডাউন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শুক্লা সরকার বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রসুলবাগ এলাকায় লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই এলাকার ১০০ পরিবার লকডাউনে থাকবে।
জানা যায়, গত ২৯ মার্চ রোববার বন্দর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার ৫০ বছর বয়সী এক নারীকে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ওই নারীকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু তারা ওই দিন ওই নারীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে না নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসে। পরদিন (৩০ মার্চ) ওই নারী আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পরে লাশ বন্দরের বাড়িতে নিয়ে আসে। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মনে করে দুই ছেলে এবং মেয়ের জামাইসহ স্বজনরা ওই নারীর লাশ বন্দর উপজেলার স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আইইডিসিআর এ পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ওই এলাকা লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে, এলাকার লোকজনের ভাষ্য, ওই নারীর মৃত্যু করোনা ভাইরাসে হয়েছে তারা শুরুতেই ধারণা করেছিলেন। এই কারণে তার লাশ স্বজনরা দাফন করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, দুপুরে ইইডিসিআর-এ পরীক্ষায় ওই নারীর নমুনায় করোনা ভাইরাস পজেটিভ হওয়ায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে ওই এলাকা লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।