যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর হারিকেন ‘লরা’
প্রলয়ংকরী হারিকেন লরা ধেয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা ও টেক্সাসের দিকে। এই হারিকেনকে প্রথমে তৃতীয় ক্যাটাগরির ভাবলেও, এর ভয়াবহতার মাত্রা অনুমান করে পরে একে চতুর্থ ক্যাটাগরির নির্ধারণ করেছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। ধারণা করা হচ্ছে, এই সাইক্লোন ‘অবিশ্বাস্য’ রকম ভয়াবহ হতে পারে। জানা গেছে, লরার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৫ মাইল (২৩০ কিলোমিটার)। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবারের শেষ দিকে বা বৃহস্পতিবারের সকালে লুইসিয়ানা ও টেক্সাস উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। মায়ামিভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে।
এনএইচসি বলছে, চতুর্থ ক্যাটাগরির হারিকেন ‘খুবই ভয়াবহ’। হারিকেনের মাত্রা মাপার স্কেলে লরার মাত্রা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর প্রভাবে লুইসিয়ানা ও টেক্সাস উপকূলে ২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে, প্রবল বাতাস বইতে পারে এবং বন্যা হতে পারে। টর্নেডোতে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘লরার প্রভাবে অবিশ্বাস্য রকম ঝড় হতে পারে। প্রলয়ংকরী ঢেউয়ে টেক্সাসের রিম স্টেট পার্ক সাগর ও লুইসিয়ানায় উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’ লরার কারণে উপকূলীয় এলাকার ৪০ মাইলের ভেতর পর্যন্ত বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। পানির উচ্চতা সাধারণ অবস্থা থেকে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় উঠতে পারে। এরই মধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে লরার প্রভাবে ২৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেট অ্যাবোট বলেন, “হারিকেনের লরার শক্তি অবিশ্বাস্য। এর ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা অকল্পনীয়। আমি দক্ষিণ-পূর্ব টেক্সাস বাসীদের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা যাবে। কিন্তু জীবন ফিরে পাওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে টেক্সাসে ক্যাটাগরি ৩ পর্যায়ের হারিকেন হারভি আঘাত হেনেছিল। সেবার ৬৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সূত্র : ইউএসএটুডে।