মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
আজ ২২ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১ টায় ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্তৃক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডাঃজাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলন এর প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের নেতা এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, মেজর (অব:) মোহাম্মদ হানিফ উদ্দিন শেখ প্রমূখ।
ডাঃজাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, উপ-মহাদেশের মেহনতি মানুষের কণ্ঠস্বর, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৫০তম বার্ষিকী আজ শনিবার।মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘদিন ভারতে থাকার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলার কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের নয়নমণি মওলানা ভাসানী ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ১২ দিন পর ঢাকায় পত্রপত্রিকায় মওলানা ভাসানীকে নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি শুরু হলে ভারত সরকার বাংলাদেশে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মওলানা ভাসানীকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেন। তখন তার স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ছিল না।
দিল্লি থেকে দেশে ফেরার আগে তিনি ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারি আসামের ফরিদগঞ্জে এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দীর্ঘ ইতিহাস, পাকিস্তানের বর্বরতা ও ২৩ বছরের শোষণের একটি চিত্র তুলে ধরেছিলেন। পরদিন ২২ জানুয়ারি মেঘালয় থেকে তিনি ভারত সরকারের একটি জিপে বাংলাদেশের হালুয়াঘাটে পৌঁছেন। তার সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ছিলেন। হালুয়াঘাটে মহান নেতা মওলানা ভাসানীকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক খসরুজ্জামান চৌধুরী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও তার ভক্তরা।