fbpx
হোম অন্যান্য বিশ্বের সবচেয়ে খুদে অধ্যাপক নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত
বিশ্বের সবচেয়ে খুদে অধ্যাপক নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত

বিশ্বের সবচেয়ে খুদে অধ্যাপক নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত

0

বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে সর্বোচ্চ সম্মাননা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। গত ১৭ অক্টোবর অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের পক্ষ থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়া সাড়ে আট বছর বয়সী এ খুদে বিজ্ঞানীর কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি স্বীকৃতিপত্র দেয়া হয়। তার অভিভাবকরা জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো তার প্রতিনিধিদল মারফত এ স্বীকৃতিপত্র সুবর্ণের বাড়িতে পৌঁছে দেন। তারা সুবর্ণকে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সুবর্ণের উদ্দেশে স্বীকৃতিপত্রে গভর্নর লিখেছেন, “আপনি এমন একজন ব্যক্তি, যিনি খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করেছেন: গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে, সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, বইয়ের মাধ্যমে! আপনি বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিত।” ক্যুমো বলেন, “গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে আপনার অর্জন প্রশংসার যোগ্য। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বের বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে আপনার বিস্ময়কর সচেতনতা এবং বিশ্ব শান্তি প্রচারের জন্য সেই সচেতনতা ব্যবহার করার ইচ্ছা আমাকে মুগ্ধ করে।” তিনি বলেন, “ভ্রাতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও সহানুভূতির মধ্য দিয়ে আপনি নিজেকে গভীর চরিত্র এবং মূল্যবোধের সিঁড়ি হিসেবে আলাদা করেছেন। এবং আপনার কাজের জন্য নিউইয়র্কের পক্ষে আপনাকে সম্মানিত করতে পেরে আমি গর্বিত।”

স্বীকৃতিপত্রে গভর্নর লিখেন, “আবারও সব নিউইয়র্কারের পক্ষ থেকে আমি আপনার প্রশংসা করছি। কারণ দ্য লাভ বইয়ের মাধ্যমে আপনি সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা জাগানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি এনে দিয়েছেন। অভিনন্দন ও অব্যাহত সাফল্য এবং সুখের জন্য শুভকামনা।”

২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউইয়র্কের একটি বাঙালি পরিবারে সুবর্ণের জন্ম। খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে পিএইচডি স্তরের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নের সমস্যাগুলি সমাধান করতে সক্ষম হওয়ার জন্য। ২০১৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্বীকৃতি পেয়েছেন বিজ্ঞানী হিসেবে। নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তাকে দিল্লিতে “গ্লোবাল চাইল্ড প্রোডিজি অ্যাওয়ার্ড” দেন। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে। সবচেয়ে বড় কথা ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক সিটি কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. লিসা কোইকো সুবর্ণকে ‘আমাদের সময়ের আইনস্টাইন’ উপাধি দেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *