‘বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে নয়া ইসলামি সভ্যতার সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
‘বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে নয়া ইসলামিক সভ্যতার সক্ষমতা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে ফারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাতের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি, ইরানের রিলিজিয়নস অ্যান্ড ডেনোমিনেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সাইয়্যেদ মাহদী মুসাভী এবং গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। এছাড়া অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে সাইয়্যেদ হাসান সেহাত উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নতুন ইসলামিক সভ্যতার জাগরণ ও বিকাশের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ইরানি রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতির অনেক বিষয় ভুলভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, ইসলামকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। বিষয়গুলোকে সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে ইতিবাচক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রকৃত চিত্র সকলের সামনে তুলে না ধরলে বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা নেতৃত্ব দিতে পারবো না। সমাজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলোকে আলোকিত ব্যক্তিদের গুরুদায়িত্ব ইসলামি সভ্যতার সক্ষমতাকে পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।’
অধ্যাপক ড. সাইয়্যেদ মাহদী মুসাভী বলেন, ‘দিন দিন মুসলিম বিশ্বকে অর্থনৈতিক সংকট ও সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতার বেড়াজালে আবদ্ধ করে ফেলা হচ্ছে। এ কারণেই আমাদের সংঘবদ্ধ হওয়া দরকার। এখানেই নয়া ইসলামিক সভ্যতার সক্ষমতার মূল ভূমিকা পালিত হবে।’
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, ‘যদিও পশ্চিমা বিশ্ব ‘গ্লোবালাইজেশন’ শব্দটিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু এই শব্দের আড়ালে মূল সত্যটি হচ্ছে ‘আমেরিকানাইজেশন’। আমি আমেরিকার সাধারণ জনগণের বিপক্ষে নই বরং বিশ্বে প্রভাব খাটানোর কাজে আমেরিকার বেশ কিছু পলিসির বিপক্ষে।’