বিএনপি সমালোচনা আর মিথ্যাচারের বৃত্তে আবর্তিত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, ‘বিএনপি সরকারের কোনো ইতিবাচক প্রয়াস দেখতে পায় না, তারা সমালোচনা আর মিথ্যাচারের বৃত্তে আবর্তিত হয়ে আছে।’
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সর্ব ইউরোপীয় শাখা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের এই সময়ে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এমন অভিযোগ করেন।
জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনায় যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চলছে শোকাবহ আগস্ট মাস। এ মাসে আমরা হারিয়েছি পরিবারের সদস্যসহ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার অমর স্থপতি, আমাদের স্বার্বভৌম মানচিত্রের চিত্রকর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে এক মর্মান্তিক ঘটনা। যে হত্যাকাণ্ডে নারী ও সন্তানসম্ভবা নারীও রেহাই পায়নি। বুলেটের আঘাতে বিক্ষত হয়েছে শিশুর দেহ। যা পৃথিবীর আর কোনো হত্যাকাণ্ডে দেখা যায়নি। সেদিন বিদেশে ছিলেন বলে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা নৃশংস হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যান।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগস্ট মাস মানে হারানোর বেদনা। হায়েনাদের অট্টহাসি আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ। যে বুলেট ১৫ আগস্ট রাতের শেষ প্রহরে হানা দিয়েছিল সে বুলেট ২১ আগস্ট আরও নির্মম হয়ে হানা দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভেনিউতে। ১৫ আগস্টে প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা শুধু রূপ পরিবর্তন করে, হারায় না। ষড়যন্ত্রকারীদের অব্যাহত অপচেষ্টা আজও চলমান। আমাদের সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে- উন্নয়ন অগ্রযাত্রাবিরোধী এ অপশক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধ ও মানুষের সুরক্ষা এবং পাশাপাশি দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সাম্প্রতিক বন্যা। মানবিকতার উদাহরণ, আস্থার শেষ ঠিকানা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দিন-রাত পরিশ্রম ও বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-নামক দলটি সরকারের কোনো ইতিবাচক প্রয়াস দেখতে পায় না। তারা সমালোচনা আর মিথ্যাচারের বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে। দিনের আলোতে-দেখতে পায় রাতের অন্ধকার। প্রেস ব্রিফিং আর নেতিবাচকতার কাঁদামাটিতে আটকে আছে তাদের রাজনীতি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, লাখ লাখ বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। করোনার অভিঘাত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বিশ্ব অর্থনীতির চালচিত্র। এর মাঝে প্রবাসীদের জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রায় ২০টি দেশে সহস্রাধিক প্রবাসী প্রাণ হারিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। সংখ্যার হিসাবে কম-বেশি যাই হোক, প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের ব্যথিত করেছে। ইতোমধ্যে করোনায় দেশে ও বিদেশে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসে আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যে অপপ্রাচার চালানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকুন। শেখ হাসিনা সরকারের ইতিবাচক অর্জন তুলে ধরুন, প্রচার করুন। প্রবাসে আপনাদের মধ্যে যারা তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে আছেন তাদের দায়িত্ব একটু বেশি। যারা সমস্যায় আছেন তাদের পাশে দাঁড়ান। আমি জানি আপনারা তা করছেন। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সেবা প্রদানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দূতাবাসগুলোকে সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে।