fbpx
হোম বিনোদন গুগলে ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যু’র পদ্ধতি খুঁজছিলেন সুশান্ত
গুগলে ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যু’র পদ্ধতি খুঁজছিলেন সুশান্ত

গুগলে ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যু’র পদ্ধতি খুঁজছিলেন সুশান্ত

0

কত পরিমাণ অভিমান বুকে লুকিয়ে থাকলে কেউ একজন গুগলে গিয়ে ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যু’ লিখে সার্চ করে। যদিও নিজেকে শেষ করে দেওয়াটা মোটেও সমাধান নয়। এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে, প্রয়াত বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত নিজেই নিজেকে হত্যা করেছেন। ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যু’, ‘সিজোফ্রেনিয়া’, ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডার’ শব্দগুলো মৃত্যুর কিছুদিন আগে গুগলে খুঁজেছেন সুশান্ত। তার কম্পিউটার ও ফোনের ‘সার্চ হিস্ট্রি’ ঘেঁটে এসব শব্দ মিলেছে বলে দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ।

গতকাল সোমবার (৩ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। তাঁর দাবি, মৃত্যুর আগে বারবার নিজের নাম গুগল করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। যন্ত্রণা ছাড়া কীভাবে নিজেকে শেষ করে দেওয়া যায়, ইন্টারনেটে সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজেছিলেন সুশান্ত। সুশান্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন বলেও দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ। সেই সঙ্গে এ কথাও জানিয়েছে, চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তিনি ওষুধও খাচ্ছিলেন। এরই সঙ্গে ‘সিজোফ্রেনিয়া’ আর ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডার’-এর মতো শব্দও গুগল করেছিলেন সুশান্ত।

পরমবীর সিং আরও জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত সুশান্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। তিনি আরও বলেছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এই সময়ে ১৫ কোটির বেশি টাকা জমা পড়েছিল সুশান্তের অ্যাকাউন্টে। তা ছাড়া একটি সাড়ে চার কোটি টাকার স্থায়ী আমানত ছিল এ তরুণের।

সুশান্তের বাবা কে কে সিংহের অবশ্য দাবি, তাঁর ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। তবে মুম্বাই পুলিশের দাবি, তাদের তদন্তে এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। গতকাল কে কে সিংহ আরও দাবি করেছেন, সুশান্তের কোনো বড় বিপদ হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে গত ফেব্রুয়ারিতেই তিনি বান্দ্রা থানার পুলিশকে সতর্ক করেছিলেন। প্রায় দেড় মাস ধরে মুম্বাই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা দেখার পরই পাটনা পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিং একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বান্দ্রা পুলিশকে জানানো হয়েছিল অভিনেতার চারপাশে বিশ্বাসঘাতক মানুষ ভরে গেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘পরিবারের কাছে এটা খুবই অস্বস্তির যে পুলিশ এত দিন ধরে কী করছে। এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশকে জানানো হয়েছিল যে সুশান্তের পাশে বহু বিশ্বাসঘাতক মানুষ ভিড় করেছেন এবং তাঁরা যেকোনো সময় তাঁকে আঘাত করতে পারেন। সুশান্তের মৃত্যুর পরও যাঁরা সুশান্তকে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *