বিএনপিতে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে দেশে এক রকম স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও কোনো দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছিল না। এ সময়ে বিএনপির যেসব নেতার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই জামিনে মুক্ত ছিলেন। এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে ‘অসম’ চুক্তি এবং বুয়েটছাত্র হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশব্যাপী অস্থির অবস্থা চলছে। এ সুযোগে সরকারকে বেকাদায় ফেলতে বিএনপিও কর্মসূচি দিয়েছে। শনিবার জনসমাবেশের কর্মসূচি থেকে দলের প্রায় শতাধিক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে বিএনপি দাবি করেছে। আর রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) প্রধান সমন্বয়কারী মেজর (অব.) ইহসাককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সমাবেশে ও বিমানবন্দরের গ্র্রেপ্তারের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোববার আদালত মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে জামিন দিলেও নেতাদের অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে চলে গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্র্রেপ্তার এড়িয়ে নেতাদের নিরাপদে থাকার নির্দেশনাও দল থেকে দেয়া হয়েছে। সঙ্গত কারণে আন্দোলন সফলের দায়িত্বে সাধারণত যেসব নেতা থাকেন, তাদের অধিকাংশই শনিবার রাতে বাড়ি থাকেননি। তারা ছিলেন নিরাপদ স্থানে। অনেক নেতা নিজের মোবাইল ফোন শনিবার রাত থেকেই বন্ধ করে রেখেছেন।
Like
Like
Love
Haha
Wow
Sad
Angry