fbpx
হোম জাতীয় বাংলাদেশ উসকানিতে পা দেবে না
বাংলাদেশ উসকানিতে পা দেবে না

বাংলাদেশ উসকানিতে পা দেবে না

0

কোনোভাবেই স্থিতিশীলতা নষ্ট হোক এটা বাংলাদেশ চায় না জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম বলেছেন, আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায় মিয়ানমার। তবে তাদের এই উসকানিতে বাংলাদেশ পা দেবে না। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে চীন, জাপান ও পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। সীমান্তে মিয়ানমারের হঠকারিতা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সম্পর্কে জানাতে রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সচিব জানান, মিয়ানমারের আচরণ সম্পর্কে কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। তাদের কিছু করণীয় থাকলে সেটা করতে বলা হয়েছে।

মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশের আশ্রয়ে রয়েছে দেশটির এমন অভিযোগ নাকচ করে দেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব। তিনি জানান, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। অন্য কোনো দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বাংলাদেশ কখনও তাদের ভূখণ্ড কোনো গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে দেয় না।

এর আগে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের চলমান উত্তেজনা পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় অবস্থিত আসিয়ানের মিশন প্রধানদের জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভেতরে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢাকার গভীর উদ্বেগের কথা তিনি আসিয়ান দূতদের জানান।

আসিয়ানের দূতরা বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের উদ্বেগের বিষয়টি তাদের নিজ নিজ দেশের সরকারকে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এদিকে সোমবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে মিয়ানমার। দেশটি এই ঘটনার জন্য আরাকান আর্মির পাশাপাশি রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে। দেশটি বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান ‘আন্তরিক সম্পর্ক’ নষ্ট করতে এই দুই পক্ষ মিলে সীমান্ত এলাকায় চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

গত ২০ আগস্ট মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল এসে বাংলাদেশ সীমানায় পড়ার পরদিন ২১ মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।

এক সপ্তাহ যেতে না যেতে ২৮ আগস্ট ফের মর্টার শেল পড়ার খবর পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আবারও সতর্ক করা হয়।

ছয় দিন পর ৩ সেপ্টেম্বর সকালে মিয়ানমারের অন্তত চারটি যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকায় পড়ে। পরদিন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো-র হাতে এ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর চতুর্থবারের মতো প্রতিবাদ জানানো হয় ঢাকার পক্ষ থেকে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *