fbpx
হোম জাতীয় বসতে দিলে শুতে চায়-বিএনপির এমন অবস্থা: আইনমন্ত্রী
বসতে দিলে শুতে চায়-বিএনপির এমন অবস্থা: আইনমন্ত্রী

বসতে দিলে শুতে চায়-বিএনপির এমন অবস্থা: আইনমন্ত্রী

0

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবিক কারণে নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দিয়েছে সরকার। দেশে তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা চলছে। এখন তিনি বলছেন- তাকে বিদেশে যেতে দিতে হবে। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কথায় আছে না, দাঁড়াতে দিলে বসতে চায়, বসতে দিলে শুতে চায়। আর শুতে দিলে ঘুমাতে চায়। তাদের (বিএনপি) অবস্থাও এখন এমন হয়েছে।’ শুক্রবার সকালে আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, একটি দরখাস্তের নিষ্পত্তি হয়ে থাকলে সেটি পুনর্বিবেচনা করার আর কোনো সুযোগ থাকে না। তার বিদেশ যাওয়ার আবেদন আইন মন্ত্রণালয় নাকচ করেছে। আবেদন যে আইনে নাকচ করা হয়েছে- সেটা সঠিক। এর পরও তারা (বিএনপি) বলছেন, সেটার কোথাও কোনো নজির আছে কিনা দেখার জন্য। এ জন্য ১৫ জন আইনজীবী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমি সময় চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার সময় চাওয়া দেখে তারা বলেন- আন্দোলন করবেন। কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে মানবতা কামাই (অর্জন) করা যায় না। আইন চলবে আইনের গতিতে। জিয়াউর রহমানের গতিতে আইন চলবে না। আইন, আইনের বইয়ে যেভাবে চলে সেভাবেই চলবে।’

আনিসুল হক বলেন, বাঙালি রীতিনীতি অনুযায়ী শত্রুর বাড়িতেও কেউ মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যদের আমরা সমবেদনা জানাই। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেলে স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানানোর জন্য তার বাসায় যান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর গেট বন্ধ করে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটি শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপমান করা হয়নি, সারা বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এর পরও প্রধানমন্ত্রী গত বছর আমাকে বলেন- ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ বলতেছে তারা (বিএনপি)। জেলখানায় তার অনেক দিন হয়ে গেছে। তার পরিবার একটা দরখাস্ত দিয়েছে। আইনের মারফত তুমি তাকে ছেড়ে দাও। আমি বললাম ঠিক আছে।’ আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে ছাড়লাম। একটা হলো- তিনি (খালেদা জিয়া) বিদেশ যেতে পারবেন না। আরেকটা হলো- তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এমন বলিনি যে, তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না। তিন-তিনবার তিনি হাসপাতালে গেছেন। বিচারিক আদালত তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন। হাইকোর্টে আপিল করার পর তার সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়েছে। অন্যায় এত গভীর যে এতিমের টাকা মেরে দিয়েছেন। এজন্য পাঁচ বছরের সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়েছে। এর পরও তিনি জামিন চেয়েছেন, আদালত জামিন দেননি। আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে সড়ক বাজার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মুক্তমঞ্চে দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন আনিসুল হক (স্থানীয় সংসদ সদস্য)। তার নিজস্ব অর্থায়নে ছয় শতাধিক অসহায়, গরিব, দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *