fbpx
হোম জাতীয় প্রশিক্ষিত দক্ষ বিমানবাহিনী গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
প্রশিক্ষিত দক্ষ বিমানবাহিনী গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

প্রশিক্ষিত দক্ষ বিমানবাহিনী গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

0

মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে বিমানবাহিনীর সদস্যদের সাহস ও মনোবল নিয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, দেশের মানুষের কল্যাণ করা, সার্বিক উন্নতি করা এটাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে বিমান বাহিনী একাডেমি যশোর প্রান্ত যুক্ত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বিমানবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে বিমানের জন্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। তিনটি বিমান এরই মধ্যে এসে গেছে। বৈমানিকদের উন্নততর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে আরো সাতটি অত্যাধুনিক ট্রেইনার বিমান যুক্ত করা হয়েছে।

বিমানবাহিনীতে শিগগিরই যুক্ত হবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল সিস্টেম, মোবাইল গ্যাপ ফিলার রাডার এবং সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স রাডার।

ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমানবাহিনীর জন্যে ভবিষ্যতে আরো আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধ বিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এখন তেমন অর্থ ব্যয় করতে না পারলেও বিমানবাহিনীকে আরো যুগোপযোগী গড়ে তোলার জন্যে পরিকল্পনা রয়েছে বলে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

‘জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন মেয়াদে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আরো শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,’ উল্লেখ করে সরকার প্রধান জানান, এরই মধ্যে বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নে তার সরকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে তার সরকার বিমানবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিমান, হেলিকপ্টার, রাডার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র এবং মুখ্য যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছে।

লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল, বিমান নির্মাণ, গবেষণা, মহাকাশ, বিজ্ঞান চর্চা হবে। এর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে, একদিন বাংলাদেশে যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার তৈরিও করা হবে। এছাড়াও আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে মহাকাশে বিজ্ঞান চর্চা করা, যার মাধ্যমে হয়তো একদিন আমরা মহাকাশে পৌঁছেও যেতে পারি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা সে লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেছিলেন জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি। ১৯৭৩ সালে সে সময়ের অত্যাধুনিক সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমানসহ হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান এবং এয়ার ডিফেন্স রাডারসহ নতুন নতুন সরঞ্জামাদি বিমানবাহিনীতে সংযোজন করেন।

এর মাধ্যমে এদেশে একটি আধুনিক বিমানবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, উল্লেখ করে তিনি জানান, একুশ বছর পর ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে এসেই তৎকালীন সবচেয়ে আধুনিক মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান ক্রয় করে।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতির প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা সর্বমহলে প্রশংসিত। করোনা মোকাবিলায় আপনাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাসমূহ অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশের সীমানা পেরেয়ি চীন থেকে আপনারা নিয়ে এসেছেন বিপুল পরিমাণ মানবিক সরঞ্জাম। বাংলাদেশ সরকারের বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে পৌঁছে গেছেন মালদ্বীপ লেবাননসহ বিভিন্ন দেশে। করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া দেশের মানুষকে ফিরিয়ে এনেছেন পরম মমতায়। এসব জানিয়ে বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

হিমছড়িতে আটকে পড়া চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করায় বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্গম সেই এলাকায় হেলিকপ্টার নামানো সম্ভব না হলেও খুব দক্ষতার সঙ্গে বিমানবাহিনী সেই ছাত্রদের উদ্ধার করে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট উপভোগ করেন। এসময় তাকে মনোজ্ঞ কুচকওয়াজের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *