পদ্মাসেতু প্রকল্প: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ৪০০ কেভি’র বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে
পদ্মাসেতু প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়াও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পেতে যাচ্ছে। সেতু থেকে দুই কিলোমিটার ভাটিতে এ জন্য আলাদা করে সাতটি পিলার বসানো হচ্ছে। মূল সেতুর জন্য বরাদ্দকৃত ১২ হাজার কোটি টাকা থেকেই নদীর গভীরে পিলারগুলো তৈরি হচ্ছে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ এ কাজ শেষ হবে।
বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পায়রা বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো ৪০০ কেভি হাইভোল্টেজের এই বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে যাচ্ছে। আশুগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে বিদ্যুৎ যাবে ওই সব জেলায়। তবে পদ্মাসেতুর স্টিলের তৈরি কাঠামোতে ৪০০ কেভি হাইভোল্টেজ লাইন টানা সম্ভব নয় বলে মূল সেতু থেকে ২ কিলোমিটার ভাটিতে আলাদা করে সাতটি বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হচ্ছে।
সেতুর পাইলিংয়ের জন্য শক্তিশালী যে হ্যামার বাংলাদেশে আনা হয়েছে, সেটা দিয়েই বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য এসব পিলার তৈরি করা হচ্ছে। মূল সেতুর জন্য বরাদ্দকৃত ১২ হাজার টাকার মধ্যেই এ পিলারগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
গত বছরের জুনে মাটি পরীক্ষার পর এর মধ্যে সব পিলারের পাইলিং শেষ হয়েছে। ৩৬টি খুঁটির মধ্যে ৩২টির কনক্রিটিংয়ের কাজও সম্পন্ন। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ পুরো কাজটি বিদ্যুৎ বিভাগের হাতে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে সেতু বিভাগ।
সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছে যে, এটা এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে বাস্তব অগ্রগতি দেখে আমার মনে হয় বিদ্যুৎ লাইনের কাজ শেষ করতে আরো সময় লাগবে। আমরা আশা করছি, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারব।
সাতটি পিলারের তিনটিতে চারটি করে আর চারটিতে ছয়টি করে মোট ৩৬টি খুঁটি প্রবেশ করানো হচ্ছে নদীর তলদেশে। এক একটি পিলারের মধ্যে দূরত্ব থাকবে ৮৩০ মিটার।