নগ্নতার অভিযোগে ‘রেস্ট ইন প্রেম’ নিষিদ্ধ !
ইতিমধ্যেই নগ্নতার অভিযোগ এনে ‘রেস্ট ইন প্রেম’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজন নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।
জানা গেছে, কনফিউজড পিকচার-এর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে নাকি মামলা ঠুকতে চলেছে প্রথম সারির এক প্রযোজক সংস্থা। কেন ?
সোশ্যাল মিডিয়া বলছে, ওটিটি ঘিরে যে ‘বাজার’ তৈরি হয়েছে, ব্যবসা চলছে, তাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে অনামী ওয়েব সিরিজের রমরমা। যদিও ওই প্রযোজক সংস্থা জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অনামী কোনও সংস্থার সঙ্গে যদি আদোতে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তবে সেটি কি বাঞ্ছনীয়? এ বিষয়ে তারকারা কী বলছেন ?
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করছেন অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়। তার যুক্তি হচ্ছে, ‘গানটা আপনার ভাল লেগেছে, মন্দ লেগেছে, আপনি নেচেছেন কিম্বা গালিগালাজ করেছেন, তার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে- এই গানের ভিডিওটির এই মুহূর্তে ইউটিউব ভিউয়ার্স ১৯ মিলিয়ন! মানে ১ কোটি ৯০ লক্ষ।’
সিরিজের অশালীনতার পাশাপাশি রুচিহীনতার অভিযোগও আনা হয়েছে গানের বিরুদ্ধে। গানটি কতখানি রুচিহীন, অপসংস্কৃতিমূলক ? আনন্দবাজারকে রূপঙ্কর বাগচী বললেন, ‘‘টুম্পা’ অপসংস্কৃতি হলে এ রকম আরও অনেক গান আছে যা যথেষ্ট জনপ্রিয়। সেগুলি যদি শ্রোতারা শুনতে পারেন তা হলে এই গানেও না শোনার মতো কিছু নেই।’’
এই প্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করলেন অরুণিমা ঘোষ, ‘‘ওয়েব সিরিজ করার ইচ্ছে আমারও। কিন্তু ওখানে খোলামেলা দৃশ্য এত বেশি যে ইচ্ছে থাকলেও এগোনোর সাহস পাই না।’’ একই সঙ্গে তার দাবি, সুস্থ প্রতিযোগিতার পথ এ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়। অভিনেত্রী দু’টি হিন্দি ছবির উদাহরণ দিয়েছেন, ‘গ্র্যান্ড মস্তি’ এবং ‘নো এন্ট্রি’।
অরুণিমার যুক্তি, ‘‘দুটো ছবিই জনপ্রিয়। কিন্তু আমি দেখব বা অভিনয় করব ‘নো এন্ট্রি’ জঁরের কমেডিতে। অন্যরা হয়তো ‘গ্র্যান্ড মস্তি’-কে বাছবেন। এটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পছন্দ। দুই ধরনেরই কাজ স্বাধীন ভাবে পরিবেশিত হোক। দর্শক ঠিক করে নেবেন তারা কোনটা দেখবেন, কোনটা দেখবেন না।’’