দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ইরান শিক্ষার্থীর জরুরি ৪ পরামর্শ
চারটি বিষয় নিয়ে আমাদের খুব জরুরি ভাবা উচিত। এ বিষয়গুলো নিয়ে না ভাবলে আমার ধারণা আর কিছুদিনের মধ্যেই দেশের স্বাস্থ্যসেবা কলাপ্স করবে।
প্রথমত, সেদিন একটি পোষ্টে জানতে চেয়েছিলাম ইরানসহ অন্যান্য প্রায় দেশে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে যে চিকিৎসক এবং নার্স আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরাই হোম কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছেন কিন্তু বাংলাদেশে উল্টা চিত্র কেন ? প্রশ্নের জবাবে একজন চিকিৎসক বলছিলেন, মান সম্মত পিপিই না দেয়ার কারণে দেশে একজন চিকিৎসক আক্রান্ত হলে তিনিসহ অন্য চিকিৎসকরাও হোম কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছেন সাথে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতাল। সেক্ষেত্রে মান সম্মত পিপিই উৎপাদন বা আমদানির অনুরোধ।
দ্বিতীয়ত, দেশে এখন শহর থেকে গ্রাম সবখানে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে তা নিয়ে কিঞ্চিৎ সন্দেহ নেই। দেশের অনেক জায়গায় একই হাসপাতালে করোনা রোগীদের সাথে অন্যান্য রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। এটা মারাত্মক ভুল এবং এর ফলে অনেক সাধারণ রোগী যারা জরুরী সেবা নিতে হাসপাতালে যাবেন তারাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমার পরামর্শ দেশের সব প্রান্তে করোনা রোগীদের জন্য আলাদা করোনা সেন্টার করা।
তৃতীয়ত, রোগীদের প্রতি অনুরোধ দয়া করে তথ্য গোপন করবেন না। এতে আপনার নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য যেমন ক্ষতি তেমনি হাসপাতালে এসে তথ্য গোপনের কারণে যারা পিপিই পড়ে থাকবেন না অথবা যারা চিকিৎসা নিতে আসবেন তারাও আক্রান্ত হতে পারেন। তাই শুরুতেই সঠিক তথ্য দিন।
চতুর্থত, রোগীর লক্ষণ হিসেবে করোনা সেন্টারগুলোতে রুম আলাদা করুন। কাউন্টারে জিজ্ঞাসা করে আলাদা রুমে চিকিৎসা সেবা দিন। দেশে শ্বাসকষ্ট বা যে লক্ষণগুলো নিয়ে করোনা রোগী আপনাদের কাছে বেশী আসছেন এমন রোগীদের আলাদাভাবে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিয়ে চিকিৎসা দিন।
লেখক: কামরুজ্জামান নাবিল
শিক্ষার্থী, ডক্টর অফ মেডিসিন, ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান।