ডা. মুরাদকে গ্রেফতারের দাবি রিজভীর
শুধু প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো নয়, ডা. মুরাদ হাসানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, যেসব কুরুচিপূর্ণ অশ্রাব্য কথা বলেছেন- তিনি রাজনীতি করার অযোগ্য। দলের সব পর্যায়ের পদ বা অবস্থান থেকে তাকে সরিয়ে দিতে হবে। শুধু মন্ত্রিপরিষদ থেকে নয়।
তিনি যে অন্যায় কথা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। তার বিচার করতে হবে, শাস্তি দিতে হবে। তাকে গ্রেফতার করতে হবে। রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রিত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিএনপি তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় করাই ছিল ডা. মুরাদের একমাত্র কাজ। সভ্যতার সব সীমা অতিক্রম করে তিনি জনগণের সামনে দানবের মতো আবির্ভূত হয়েছেন। এরা আমাদের সমাজে বসবাস করবে, কিন্তু তাদের আচরণ, চলাফেরা ও কথাবার্তায় প্রতিফলিত হয় কুরুচি, বিবেকবর্জিত ও নারী বিদ্বেষ। তাহলে সেই সমাজে কত বিষাক্ত নৈরাজ্য তৈরি হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। নারী বিদ্বেষী, বর্ণ বিদ্বেষী মুরাদের মানসিকভাবে বিকৃত বক্তব্য সারা জাতিকে হতবাক ও স্তম্ভিত করেছে। উপর মহল থেকে আস্কারা পেয়ে অসুস্থ মানসিকতার একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকলে তার অপব্যবহারে সে যে বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে মুরাদ সেটির একটি প্রমাণ। এ রকম একজন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার আস্ফালনে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসিতে পরিণত হয়।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে সরকার তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে অভিযোগ করেন রিজভী। বিদেশে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সূক্ষ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী দেশনেত্রী তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে জনমনে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রিয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আসাদুল করীম শাহিন, মাশুকুর রহমান মাশুক, নিপুণ রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।