fbpx
হোম অন্যান্য জেলার পর উপজেলাগুলোতেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা
জেলার পর উপজেলাগুলোতেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা

জেলার পর উপজেলাগুলোতেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা

0

বাংলাদেশের প্রায় ৫০ টি জেলায় করোনা ভাইরাসের থাবা পড়েছে। এখন ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে উপজেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের বেশ কয়েকটি উপজেলায় ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি তাহছিন নূরী খোকন জানিয়েছেন, বেলকুচি উপজেলার গোপরেখী গ্রামে নারায়ণগঞ্জ ফেরত রজব আলী (৬২) নামের ১ ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

রবিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটাই সিরাজগঞ্জে করোনা আক্রান্তের প্রথম রোগী। আক্রান্ত রজব আলী শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে।

প্রায় ১০দিন পূর্বে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ীতে ফিরে আসে। কিন্তু এলাকাবাসীর আপত্তির কারণে পার্শ্ববর্তী বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোপরেখী গ্রামে তার ভায়রা সাদ্দাম হোসেনের বাড়ীতে অবস্থান নেন।

বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, অসুস্থতার কারনে প্রথমে তাকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম তাকে গোপরেখীর ওই বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রেখে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আজ রিপোর্টে তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। তিনি আরও জানান, আপাতত বাড়ীতে রেখেই তার চিকিৎসা চলবে। করোনা শনাক্ত হবার সাথে সাথেই রোগীর অবস্থান করা ঐ বাড়ী এবং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

 

অন্যদিকে, মিরসরাই প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রথম করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি উপজেলার ১২ নং খৈয়াছরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নিজতালুক গ্রামের বাসিন্দা। আক্রান্ত রোগী একজন মহিলা,বয়স (৩২)।

তিনি একজন সেনা সদস্য’র স্ত্রী। শারীরিক অসুস্থতা জনিত সমস্যায় তিনি সম্মিলিত একটি সরকারি হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ ভর্তি হলে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তার করোনা ভাইরাস “পজিটিভ” পাওয়া যায়।

রবিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, রাতে আমি এ বিষয়টি জানতে পারি। সকালে উপজেলা নির্বাাহী কর্মকর্তা ও মিরসরাই থানা পুলিশসহ রোগীর বাড়িতে গিয়ে বাড়ী ও রোগীর বহনকৃত মাইক্রো গাড়ীর চালকের বাড়ীও লকডাউন করে দিয়েছি। ঐ দুই বাড়ীর লোকদের ১৪ দিনের হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে কে বা কারা এসেছে তা জানার জন্য তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আক্রান্ত রোগী বর্তমানে চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, প্রথমদিকে জেলায় জেলায় দুই বা একজন আক্রান্তের খবর আসলেও এখন উপজেলাতেও পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগী।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *