ছাত্রীদের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে প্রধান শিক্ষকের আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার
যশোরের মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী।ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর বার্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রেম নিবেদন করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিজের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জার থেকে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীকে তাদের ব্যবহৃত ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে বার্তা দিয়েছেন। এনিয়ে তোলপাড় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিদায় নেওয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে এমন আপত্তিকর বার্তা দেওয়ায় সে এটি ফাঁস করে দেয়। সেখানে লিখেছে, ‘জান আই লাভ ইউ। আমাকে কষ্ট দিও না। আই মিস ইউ। তুমি কি সত্যি আমাকে একটুও ভালবাসো না, এতদিন যদি আল্লাহকে ডাকতাম তবে তিনি সাড়া দিতেন। কিন্তু তুমি সাড়া দিলে না’।
এক ছাত্রী জানায়, গত আগস্টে তাকে ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর কথাবার্তা লিখলে সে প্রধান শিক্ষকের আইডি ব্লক করে দেয়। অপর এক শিক্ষার্থী বলে, স্যারের এমন কুরুচিপূর্ণ লেখার প্রতিবাদ করলেই বিদ্যালয়ের না আসার হুমকি দিতেন। আরেক শিক্ষার্থী জানায়, সে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউএনও স্যারকে জানানোর কথা বললেই প্রধান শিক্ষক কিছুদিন চুপ হয়ে যেতেন। কিছুদিন পর থেকে আরেকজনের সাথে এমন আপত্তিকর বার্তা দেওয়া শুরু করতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন, হেড স্যারের আইডিতে নাকি মাসখানেক ধরে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই তিনি রবিবার পুরনো আইডি ব্লক করে নতুন আইডি খুলেছেন। আমাদের সেই আইডিতে রিকোয়েস্ট পাঠাতে বলেছেন। এর আগেও চলতি বছরের শুরুতে লিতুনজিরা নামে এক প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন হায়দার আলী।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, আমি সংস্কৃতিমনা মানুষ। ছাত্রীদের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। এটা অনেকে সহ্য করতে পারে না। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি চক্র আইডি হ্যাক করে এসব কাজ করেছে।
ছাত্রীদের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর আপত্তিকর কথাবার্তার কয়েকটি স্ক্রিনশর্ট ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সর্বমহলে প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।