fbpx
হোম আন্তর্জাতিক ঘুম না এলে গাঁজা সেবন করতেন আরিয়ান, স্বীকার করেন নিজেই!
ঘুম না এলে গাঁজা সেবন করতেন আরিয়ান, স্বীকার করেন নিজেই!

ঘুম না এলে গাঁজা সেবন করতেন আরিয়ান, স্বীকার করেন নিজেই!

0

২০১৮ সালে আমেরিকায় পড়তে গিয়েছিলেন বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। সেখানে ছিল নতুন পরিবেশ। পরিবার, বন্ধুবান্ধব ছেড়ে রাতে ঘুম আসত না তার। তাই গাঁজা সেবন করতেন আরিয়ান। 

স্থানীয় এক সরবরাহকারীর থেকে গাঁজা আনিয়ে দিতেন আরিয়ানের বন্ধু আচিত। তবে সরবরাহকারীকে নাকি চোখেই দেখেননি কোনো দিন তিনি। কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) চার্জশিটে এমনই বয়ান ছিল শাহরুখপুত্রের।

আরিয়ানের দাবি, ইন্টারনেট ঘেঁটে জেনেছিলেন ঘুম না এলে এই পন্থা নেওয়া যেতে পারে। তা নিয়ে অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনও প্রকাশ্যে এসেছিল। শাহরুখপুত্র নিজেও জেরার মুখে স্বীকার করেন— ঘুম আনার জন্য গাঁজা সেবনের বিষয়টি তিনি অনন্যাকে বলেছিলেন।

এদিকে এনসিবি-তদন্তের সময় অনন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্পষ্টই তা এড়িয়ে যান। বলেন, ওটা তো মজা করছিলাম আমরা। আরিয়ান যদি বলে থাকে, মিথ্যা বলেছে। এ রকম কিছু ও আমায় বলেনি।

২০২১ সালের অক্টোবরে যে দিন মুম্বাইয়ের প্রমোদতরী থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আরিয়ান ও তার সঙ্গীদের, গোটা ভারতে সমালোচনার ঝড় বইছিল কিং খান ও তার ছেলেকে নিয়ে। প্রায় এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পান আরিয়ান। তার সঙ্গী, বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের সরঞ্জাম তল্লাশি করে সামান্য গাঁজা পাওয়া যেতেই দুয়ে দুয়ে চার করা হয়েছিল।

যদিও পরে জানা গেছে, সেই গাঁজা পাচারের উদ্দেশ্যে তারা সঙ্গে নেননি। এমনকি আরিয়ান সেবন করবেন বলেই যে গাঁজা সঙ্গে রেখেছিলেন আরবাজ, এমনটিও প্রমাণিত হয়নি। এও জানা গেছে, দেশি বা বিদেশি কোনো পাচারচক্রের সঙ্গেই শাহরুখপুত্রের সংযোগ নেই।

তবু দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলতেই থাকে। শেষমেশ বছর ঘুরতেই এনসিবি জানায়, নাম জড়ালেও মাদক পাচারকাণ্ডে হাত ছিল না শাহরুখপুত্রের। শুক্রবার এনসিবির পেশ করা চার্জশিটে তাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করার পরই নতুন করে শোরগোল পড়ে। আর তাতেই বেরিয়ে এসেছে আরিয়ানের এই অতীত-অভ্যাসের কথা। অনুরাগীদের প্রশ্ন— শাহরুখপুত্র নির্দোষ জেনেই কি নতুন করে জলঘোলা শুরু হলো?

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *