fbpx
হোম বিনোদন ‘গন্তব্য’ ছবির পরিচালক এখন হোটেল বয়, ২৫০ টাকা দৈনিক আয়
‘গন্তব্য’ ছবির পরিচালক এখন হোটেল বয়, ২৫০ টাকা দৈনিক আয়

‘গন্তব্য’ ছবির পরিচালক এখন হোটেল বয়, ২৫০ টাকা দৈনিক আয়

0

চলচ্চিত্রে ছবি বানানোর নেশায় সব বিক্রি করে আজ নিঃস্ব ‘গন্তব্য’ ছবির পরিচালক পলাশ। নিজের বাড়ি, স্ত্রীর গয়না ছবির অর্থের জোগানে কাজে লাগিয়েছেন।

তিনি ভেবেছিলেন সিনেমা মুক্তি পেলে হয়তো দিন বদলাবে । কিন্তু দিন বদলিয়েছে ঠিকি ভাগ্য তার বদলায়নি।
জানা যায়, সিনেমাটি কোনোরকমে শেষ করতে পারলেও মুক্তি দিতে পারছেন না। কোনো আয় না থাকলেও প্রতি মাসে নিয়মিতভাবেই যোগ হয় ঋণের সুদ। কারন ছবির জন্য সুদে ঋণ পর্যন্ত নিয়েছেন তিনি।

নামী অভিনেতাদের সাথে যার চলাচল, ওঠাবসা তিনি আজ হোটেলে খাবার দেন। বানিয়েছিলেন সিনেমা ‘গন্তব্য’। চিত্রনায়ক ফেরদৌস, নায়িকা আইরিনকে জুটি করে ছবিটি নির্মাণ করেছেন তিনি। আরও আছেন এ ছবিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী রাজু, আফফান মিতুলসহ অনেক কলাকুশলী। ছবিটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত পরিচালক ছবিটি মুক্তি দিতে পারেননি। সবশেষ অর্থের অভাবে কোনভাবে ছবি মুক্তি দিতে না পরে এখন তিনি হোটেলের বয় হিসেবে কাজ করেন মিরপুরের একটি হোটেলে।

পলাশের ভাষ্য, ‘পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির প্রযোজকও আমি। আমার সর্বস্ব শেষ করে ‘গন্তব্য’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে সুদে ঋণ নিয়ে, জমি বিক্রি, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছি। ছবির সেন্সরও পেয়েছি অনেক দিন হয়। কিন্তু ছবিটি মুক্তি দেওয়ার জন্য টাকা আমার কাছে নেই। অভাবের আক্রমণে বিধ্বস্ত আমি। সবাই আমাকে ছেড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে এখন মিরপুরে একটি রেস্তোরাঁয় হোটেল বয়ের কাজ করছি।’

তিনি বলেন, সিনেমার জন্য তো অনেক করেছি আমি। এই সিনেমা আমার জন্য কিছুই করলো না। অনেক জায়গায় চাকরি খুঁজেছি। কিছুই হয়নি। পেট চালানোর জন্য তাই দৈনিক ২৫০ টাকা হাজিরা ও তিন বেলা খাওয়ার চুক্তিতে রেস্তোঁরায় কাজ করছি। ছয় বন্ধু মিলে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং সেই চলচ্চিত্রটি সারাদেশে প্রদর্শন করার ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে সিনেমার কাহিনি। গল্পে আছে দুটি ভাগ, একটি শহরের, অন্যটি গ্রামের।

‌‌‘‌ইমপ্রেস টেলিফিল্মের কাছে ছবিটি বিক্রির আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে ইমপ্রেস তার সঙ্গে অপেশাদার আচরণ করেছে। একটি সিনেমার জন্য তারা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছে পলাশকে। পরে তারা ৭ লাখ টাকা দেবে বলে জানান। এখন তারা দিতে চাইছেন মাত্র ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ ছবির কপিরাইট এবং বাকি এক লাখ টাকা অনলাইন স্বত্ব। এত কম টাকায় সিনেমা বিক্রি করা আদৌ সম্ভব নয়।’

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *