গদি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন ইমরান খান !
বছর তিনেক আগে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে ইমরান খান সরকারকে। সম্প্রতি সংসদের উচ্চকক্ষে হারতে হয়েছে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীকে। এরপরই নিম্নকক্ষে আস্থা ভোটের মাধ্যমে নিজের শক্তি পরীক্ষা করতে চাইছেন ইমরান। হেরে গেলে গদি ছাড়তেও আপত্তি নেই তার।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি যে অর্থ রোজগারের জন্য রাজনীতিতে আসেননি, সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, শনিবারের আস্থা ভোটে হেরে গেলে মসনদ ছেড়ে দেবেন।
খোলাখুলি নিজের পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে ইমরান জানিয়ে দিলেন, বিরোধী আসনে বসতে কোনও আপত্তি নেই তার। তবে অভিমানের পাশাপাশি ক্ষোভও উগরে দিতে দেখা গেল তাকে। বিরোধীদের পাশাপাশি দেশের নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন ইমরান খান।
তার অভিযোগ, টাকার সাহায্যে ভোট কেনাবেচা হচ্ছে সংসদে। আর তাদেরই রক্ষা করছে কমিশন। ক্ষুব্ধ ইমরানকে বলতে শোনা যায়, আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে এটা কী ধরনের রসিকতা হচ্ছে ? এ কেমন গণতন্ত্র ?
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী আব্দুল হাফিজ শেখকে হারিয়ে দিয়েছেন ইউসুফ রাজা গিলানি। আব্দুল শেখ যেখানে ১৬৪টি ভোট পেয়েছেন, সেখানে ১৬৯টি ভোট পেয়েছেন গিলানি। সাতটি ভোট বাতিল হয়েছে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে পেরেছে। আপাতত তাদের লক্ষ্য চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যানের আসন। ওই দু’টি আসনের নির্বাচন হবে আগামী ১২ মার্চ। গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে। তবে তার আগেই শনিবার হবে আস্থা ভোট। সেখানে হেরে গেলে গদি ছাড়তে হবে ইমরানকে।