করোনায় মসজিদে নামাজ নিয়ে দেওবন্দের ফতোয়া
মসজিদে আযান ও জামায়াতে নামাজের বিষয়ে চেঞ্জ টিভিকে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, মসজিদে আযান চালু ও সালাতের আনুষ্ঠানিকতা থাকবে। ইমাম মুয়াজ্জিন ও মসজিদ স্টাফসহ মসজিদের একান্ত কাছের লোকদের মধ্যে যারা নিরাপদ তারা শরীক হতে পারেন। আর বাকিরা বাসায় নামাজ পড়বেন, এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। আর বাসায় নামাজ পড়লে মসজিদের সমান সাওয়াব পাওয়া যাবে।
বুখারীর একটি হাদিস উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, রাসুল সা. এবং তার সাহাবীরা অতি বৃষ্টি ও প্রচন্ড শীতে মানুষকে বলতেন তোমরা ঘরে নামাজ আদায় করো। আমরা জানি যে, অতি বৃষ্টি ও প্রচন্ড শীতে মসজিদে আসাটা যতটা শঙ্কা বা বিপদের আজ করোনা ভাইরাসের যে ভয়াবহতা এটাকে উপেক্ষা করে মসজিদে আসাটা তার চেয়েও বেশি বিপদের। তাই অনুরোধ করবো মসজিদে না যেয়ে বাড়ীতে নামাজ পড়ুন আল্লাহ আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ সাওয়াব দান করবেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরো বলেন, সম্প্রতি দারুল উলুম দেওবন্দ একটি ফতোয়া দিয়েছেন, যে কোন এলাকা যদি লকডাউন হয়ে যায় এবং কারফিউ জারি করা হয় তাহলে প্রত্যেকে ঘরে নামাজ পড়বে। আর কোন এলাকা যদি লকডাউন নাও হয় মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে
কর্তৃপক্ষ যদি কড়াকড়ি আরোপ করেন সে ক্ষেত্রেও দেওবন্দ বলেছেন ঐ এলাকার মানুষ ঘরেই নামাজ পড়বেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন,যিকির করবেন, তওবা করবেন।