করোনায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের বন্ধু ডা. জালাল উদ্দীন
মানিকগঞ্জে ত্রাণ বঞ্চিত দরিদ্র্য ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন ডা. সৈয়দ জালাল উদ্দীন।
করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকেই সমাজের মধ্যে সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্র ক্ষুধার্ত পরিবারের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজ উদ্যগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, আলহাজ্ব ডা. সৈয়দ জালাল উদ্দীন আহম্মেদ।
শুক্রবার মানিকগঞ্জের নিজ গ্রামে ৩ শতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে এই বিশেষ প্যাকেটে খাদ্য সামগ্রীর তালিকায় আছে, চাল,ডাল, আলু, তেল, ইত্যাদি। করোনার দুর্যোগে অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত শিবালয় উপজেলায় প্রায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পরেন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র্য পরিবারগুলো।
উপজেলার জনসংখ্যা তুলনামূলক বেশি হলেও সরকারি বরাদ্দ একেবারেই সীমিত। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেষণায় বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন জালাল উদ্দীন । মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা শিমুলিয়া ইউনিয়নে সবচাইতে অবহেলিত একটি গ্রাম শাকারাইলে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস থাকলেও এখন পর্যন্ত হাতে গোনা ১০০ জনের কাছেই ত্রান পৌঁছায় নাই।
এরিমধ্য অসহায়, দুস্থ, হতদরিদ্র এবং পরিবহন শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক ও কর্মহীন দিনমজুরদের মাঝে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার নিজ গ্রামের মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের শাকরাইল থেকে আজ সকালে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি । অনেক এলাকায় ভোটার না হওয়ার কারণে ত্রাণ ও সহযোগিতা পাননি কিন্তু এখানে এরকম কোন ভেদাভেদ নেই সকল মধ্যবিত্ত, অসহায়, দুস্থ, হতদরিদ্রদেরকে দেয়া হচ্ছে।
এসময় তার এই মহতি কাজের সঙ্গে একাত্মতা পোষন করে শিবালয় উপজেলার চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু, শিবালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবুল আহাম্মেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।