fbpx
হোম ক্রীড়া ইসলামই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ক্রিকেটার মঈন আলি
ইসলামই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ক্রিকেটার মঈন আলি

ইসলামই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ক্রিকেটার মঈন আলি

0

ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় যে অর্জন, সেই ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন মঈন আলি আর আদিল রশিদ। ইংল্যান্ডের ড্রেসিং রুমেও তাদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো। ইংলিশ ক্রিকেটার তো বটেই, দু’জনের আরও একটা সাধারণ পরিচয় আছে, দু’জনই মুসলিম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বললেন দু’জনে। সেখানে মঈন আলি জানালেন, ইসলামই তার ও তার পরিবারের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডেতে ইনিংস বিরতিতে স্কাই স্পোর্টসের পক্ষ থেকে এউইন মরগান নেন সাক্ষাৎকারটি। সেখানে মঈনকে জিজ্ঞেস করা হয় তার ধর্মবিশ্বাসের গুরুত্ব তার কাছে কতটুকু। সেখানেই তিনি বললেন, ‘এটা আমার ও আমার পরিবারের সবকিছু। আমাদের ১ নম্বর প্রাধান্য থাকে এখানেই। ক্রিকেট বলুন বা অন্য কিছু বলুন, বাকি সব তার পরে আসে।’

তবে ধর্মবিশ্বাসকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়াতে অন্য কিছুর সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান মঈন। বলেন, ‘ইসলামকে সবার আগে রাখার কারণে অন্য কিছু যেমন ক্রিকেটের প্রতি প্রাধান্যটা কমে যাচ্ছে না আমার। এটা নেহায়েতই আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়।’

তার সতীর্থ আদিল রশিদ সম্প্রতি হজ করতে পারি জমিয়েছিলেন মক্কায়। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারেননি তিনি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আর আদিলের কাউন্টি দল ইয়র্কশায়ার সানন্দেই তাকে ছুটি দেয়।

আদিলের অনুপস্থিতির সময় হজের বিষয়ে ড্রেসিং রুমে উৎসুক সতীর্থদের প্রশ্নের জবাবও দিতে হয়েছে মঈন আলিকে। ইংলিশ অলরাউন্ডারের কথা, ‘হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। এটা আপনাকে ধৈর্য ধরার ও আপনার যা-ই আছে তার জন্য স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানানোর শিক্ষা দেয়। ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের রোলমডেল আছেন অনেকে। তবে মুসলিম হিসেবে নবী-রাসুলরা হলেন আমাদের রোলমডেল। রোজা রাখা, নামাজ পড়া ইত্যাদি বিষয়ে আমরা তাদের যথাসম্ভব মেনে চলার চেষ্টা করি।’

‘রশিদ যখন ছিল না, আমাকে হজ নিয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। বিষয়টা ভালোই। এ ধরনের আলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা সবাইকেই সাহায্য করে।’

মঈন আলির মতে, দলের এই পরমতসহিষ্ণু প্রকৃতির কারণেই ড্রেসিং রুমের পরিবেশ সবার জন্য সহজ হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের বৈচিত্রটা বেশ ভালো। যে কেউ ড্রেসিং রুমে যে কোনো পরিচয়, ভিন্নতা নিয়ে আসতে পারে। আর সবাই এখানে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারে।’

মঈন আলি হজ করেছেন প্রায় ১০ বছর আগে। তবে আদিলের অপেক্ষা শেষই হচ্ছিল না। প্রতি বছরই প্রায় ঠাসবুনটের সূচি অপেক্ষা বাড়াচ্ছিল ক্রমেই। তবে এই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর কাউন্টি ক্রিকেটের চাপ কম থাকায় সিদ্ধান্ত নেন হজে যাওয়ার।

সিদ্ধান্তটাকে সহজ করার জন্য ইংল্যান্ড ও ইয়র্কশায়ারের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। বলেন, ‘আমি ইসিবির সঙ্গে কথা বলেছি, আমার অধিনায়ক, আমার কাছের মানুষ হওয়ার কারণে তোমার (মরগান) সঙ্গেও কথা বলেছি। ইসিবি আর ইয়র্কশায়ারের পক্ষ থেকে যে সমর্থন, যে উৎসাহটা পেয়েছি, তা অমূল্য। এ কারণে আমার জীবনটা সহজ হয়ে গেছে। সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল, খুব বেশি ভাবতে হয়নি আমাকে।’

হজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, সেটাও জানালেন আদিল। বললেন, ‘অবিশ্বাস্য একটা অভিজ্ঞতা। মুসলিম হিসেবে এটা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। যদি আপনার সামর্থ্য থাকে, শারীরিক আর মানসিকভাবে ফিট থাকেন, তাহলে এটা করতে হবে আপনাকে। অনেক দিন ধরেই হজ করতে চেয়েছি, কিন্তু ক্রিকেটের কারণে একটু কঠিন হয়ে পড়েছিল বিষয়টা।’

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *