fbpx
হোম আন্তর্জাতিক ইরান শিগগিরই বিশ্বের বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্রে পরিণত হবে
ইরান শিগগিরই বিশ্বের বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্রে পরিণত হবে

ইরান শিগগিরই বিশ্বের বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্রে পরিণত হবে

0

অনেকেই ধারণা করছে বহু বছর পর ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই হয়তো ইরান আবারও সমরাস্ত্রের বাজারে প্রবেশ করবে এবং দেশটি অচিরেই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্রে পরিণত হবে। এ ব্যাপারে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রেখে এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ব্যাপক হারে উৎপাদনের বছরে কৌশলগত অস্ত্র তৈরির অবকাঠামো আমাদের রয়েছে এবং অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সমস্যা নেই এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অর্থনীতিসহ বেসামরিক বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করতেও এই মন্ত্রণালয় প্রস্তুত রয়েছে।

৮ বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শত্রুর চাপিয়ে দেয়া নিষেধাজ্ঞা ও সীমাবদ্ধতা সত্বেও ইরান প্রমাণ করেছে আত্মরক্ষায় তারা কতখানি পারদর্শী। নিজস্ব প্রযুক্তি ও সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিরক্ষা শিল্পে ইরান আজ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। উদাহরণ স্বরূপ, ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির কথা উল্লেখ করা যায় যা কিনা চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় প্রয়োজনের তাগিদে ইরান এ অস্ত্র তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিল। বর্তমানে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালেস্টিক ও ক্রুজসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ইরান বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সমরবিদরা বলছেন, নতুন নতুন প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ইরান এ অঞ্চলে সামরিক শক্তির ভারসাম্য নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।

ইরান সম্প্রতি সফলভাবে নূর নামে সামরিক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হওয়ায় ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ক মার্কিন বিশ্লেষক অ্যান্থেনিও কার্তুলুসি বলেছেন, ইরান এমন এক অবস্থানে পৌঁছে গেছে যা বহুমেরু কেন্দ্রিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। নৌ শক্তির ক্ষেত্রেও ইরান অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ডুবো জাহাজ নির্মাণের কথা উল্লেখ করা যায় যা কিনা আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন প্রযুক্তিতে ইরান আঞ্চলিক পরাশক্তিতে এবং বিশ্বে চতুর্থ বৃহৎ শক্তিতে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধবিমানের দিক থেকেও ইরান অনেক এগিয়ে। বভার-৩৭৩, খোরদাদ-তিন, তাবাস-দুই ও সাইয়াদের মতো বিমানগুলো ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে। এ ছাড়া লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও ইরান হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাতারে শামিল হয়েছে যা কিনা তাদের সামরিক শক্তির বড় প্রমাণ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *