অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবি, নিহত ৪৫
চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় ৫ শিশুসহ অন্তত ৪৫ জন অভিবাসী এবং শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বুধবার (১৯ আগস্ট) এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ৮০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ছোট ওই নৌযানটির ইঞ্জিন বিষ্ফোরিত হলে তা ডুবে যায়। এতে অন্তত ৪৫ জন প্রাণ হারান। স্থানীয় জেলে ও মৎস্যজীবীরা ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ।
ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী ওই দুর্ঘটনার পর বুধবার যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এমন তথ্য দিয়ে উদ্ধার অভিযান জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থা দুটি বলছে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান ছাড়া ভূমধ্যসাগরে আরও অনেকের প্রাণহানি ঘটবে। ওই যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা দুটি জানিয়েছে সোমবারের ভয়াবহ ওই নৌকাডুবিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই আফ্রিকার দেশে সেনেগাল, মালি, শাদ এবং ঘানার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার সময় চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে ৩ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ২০১৪ সালে আইওএম হিসাব রাখার শুরুর পর গত কয়েক বছরে এই সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। তবে এই তথ্যের চেয়ে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি বলেই জানিয়েছে বিবিসি।