এক বেলা বিদ্রোহ করেই মালি’র ক্ষমতা সেনাবাহিনীর দখলে
আফ্রিকার মালিতে মাত্র এক বেলার সেনা বিদ্রোহের তোপে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট সরকার ভেঙে দিতে বাধ্য হলেন। ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী সেনারা। তবে এরপর তারা কিভাবে সরকার গঠন করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর ডয়চে ভেলে।
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বহু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী মালির এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। দ্রুত প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি দাবি করা হয়েছে। বিদ্রোহী সেনাদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে ব্যারাকে। তবে পরিস্থিতি যা, তাতে বিদ্রোহী সেনারা সে কথায় কান দেবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে আচমকাই কাটির সেনা ছাউনিতে বিদ্রোহ শুরু হয়। অস্ত্র তুলে নেয় বিদ্রোহী সেনারা। প্রথমে তারা সেনা ছাউনির অফিসারদের আটক করে। এরপর ছাউনির বাইরে বেরিয়ে এসে একে একে সরকারি আধিকারিকদের আটক করে। বিদ্রোহী সেনারা রাজধানী বামাকোর দিকে এগোতে থাকে। কাটি থেকে বামাকো প্রায় ১৫ কিলোমিটার। বিদ্রোহী সেনারা যত এগিয়েছে ততই তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বিদ্রোহী সেনারা যখন রাজধানীর দিকে মার্চ করে, তখন বামাকোর সেন্ট্রাল স্কোয়্যারে সাধারণ মানুষ সেনা বিদ্রোহের সমর্থনে জড়ো হতে শুরু করেন। এম ফাইভ আরএফপি বিক্ষোভকারীরাও তাতে অংশ নেন। বিদ্রোহী সেনারা রাজধানীতে পৌঁছে ঘিরে ফেলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম কেইটার প্রাসাদ। প্রাসাদের বাইরে বেশ কয়েকবার আকাশে গুলি ছোড়া হয়। তবে প্রেসিডেন্টের গার্ডরা পাল্টা আক্রমণ করেনি।
কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, বিদ্রোহী সেনাদের সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে, প্রেসিডেন্ট বুঝতে পেরেছিলেন লড়াই করে লাভ হবে না। প্রেসিডেন্ট অবশ্য বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য রক্তপাত হোক, তা তিনি চাননি। সে জন্যই বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বউবউ কিসেকেও একই ভাবে আটক করে বিদ্রোহী সেনারা। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী দুই জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাটির সেনা ছাউনিতে।