fbpx
হোম জাতীয় আজ মহান বিজয় দিবস
আজ মহান বিজয় দিবস

আজ মহান বিজয় দিবস

0
আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জনের দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অবসান হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাড়ে তেইশ বছরের শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাঙালির বিজয়ের মুহূর্তগুলো স্মরণের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি উদযাপন করা হবে।
মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন করা হবে দেশের সর্বত্র।
জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে সেইসব বীর সেনানীদের যারা শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে অনাগত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি দেশ উপহার দিয়েছেন। যেসব নর-নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মান জানানো হবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপনের সর্বাত্মক প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভকারী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে টালবাহানা শুরু করে শাসকগোষ্ঠী। ফলে ক্ষোভে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান। একাত্তরের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জনগণের স্বাধীনতার স্পৃহাকে প্রবল করে তোলে।
ঢাকা যখন অগ্নিগর্ভ, তখন পাকিস্তানি শাসকচক্র আমাদের মুক্তির স্পৃহাকে দমনের পথ বেছে নেয়। রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে নিরস্ত্র মানুষ হত্যার মাধ্যমে জন্ম দিল ২৫ মার্চের কালরাত্রি। এরপরই চূড়ান্ত হয়ে যায় আমাদের পৃথক পথচলার যাত্রা। শুরু হলো স্বাধীনতার লড়াই। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তি সংগ্রামের পর পরাজয় মেনে নেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *