হ্যারিকেন লরার আঘাতে লুইজিয়ানা-টেক্সাসে ১৪ জনের প্রাণহানি
আমেরিকার লুইজিয়ানা ও টেক্সাস উপকূলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে হ্যারিকেন লরা। ২৪০ কিলোমিটার বেগের এই হ্যারিকেনের আঘাতে উপকূলজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা ১৪। এর মধ্যে লুইজিয়ানাতেই প্রাণ গেছে ১০ জনের। আর টেক্সাসে ৪ জনের। প্রাণহানির সংখ্যা কম হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎশূন্য হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। পানিবন্দী হয়ে রয়েছেন লাখো মানুষ। এছাড়া একটি শিল্পাঞ্চল এলাকায় কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন লুইজিয়ানোর গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস।
দুই অঙ্গরাজ্যের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রেডক্রস। ধ্বংস্তূপ অপসারণে ন্যাশনাল গার্ডের দেড় হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। হ্যারিকেন লরাকে ভয়াবহ দুর্যোগ আখ্যা দিয়েছেন লুইজিয়ানা ও টেক্সাসের গভর্নররা। ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা। শনিবার (২৯ আগস্ট) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার আগে লরা তাণ্ডব চালিয়েছিল হাইতিতে। সেখানে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। লরা লুইজিয়ানার উপকূলে হানা দেয় ভয়াবহতার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চতুর্থ ক্যাটাগরির হারিকেন হিসেবে। কিন্তু ভূ-পৃষ্ঠে আঁছড়ে পড়ার পর সেটির মাত্রা কমে যায়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়।