সাহেদ কাণ্ড ৭: পুলিশ প্রটোকল নিয়ে চলতো সাহেদ
ঢাকার বাইরে গেলেও পুলিশ প্রটোকল নিতেন সাহেদ। যদি কেউ কোনো ক্ষতি করে বসেন এমন আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট ইউনিট কমান্ডাররা প্রোটেকশন দিতে অনেকটাই বাধ্য হতেন বলে জানিয়েছেন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে সাহেদের প্রতারণার বিষয়টি কিছুটা ছড়িয়ে পড়লে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে পুলিশ সদর দফতরকে একটি চিঠি দেওয়া হলেও রহস্যজনক কারণে তা থেমে যায়।
উল্টো, বঙ্গভবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব অনুষ্ঠানে ছিল সাহেদের সরব উপস্থিতি। উপসচিব মোহা. নায়েব আলী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে (স্মারক নং-৪৪.০০.০০০০.৭৫.০৮.০০৪.১৪.৭১৭) উল্লেখ করা হয় মোহাম্মদ শহীদ বিভিন্ন সময় নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর/লে. কর্নেল এবং ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ও সেনাবাহিনীর ১৪তম বিএমএ লং কোর্সের অফিসার হিসেবে নিজের পরিচয় প্রদান করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন।
তিনি বিগত ১৯৯৬-২০০০ সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এডিসি ছিলেন মর্মেও পরিচয় প্রদান করে থাকেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোক। তিনি নানা ধরনের প্রতারণামূলক কর্মে সম্পৃক্ত।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে প্রতারণার দায়ে ইতিমধ্যে ৪২০ ধারায় ঢাকাস্থ বিভিন্ন থানায় ৩১টি এবং বরিশালে ১টি নিয়ে সর্বমোট ৩২টি মামলা রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা হয়। তিনি ২ বছর জেল খাটেন মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।