সাহেদ কাণ্ড ৮: সেলফি তুলে নিজেকে জাহির করতো যেভাবে
মেয়াদোত্তীর্ণ ‘রিজেন্ট হাসপাতাল’-এর সঙ্গেই কোভিড চিকিৎসায় চুক্তিবদ্ধ হয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ২১ মার্চ এই চুক্তিতে উপস্থিত ছিলেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ প্রশাসনের অনেক উচ্চ পর্যায়ের লোকজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতিসহ দেশ-বিদেশের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি দিয়ে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জাহির করতেন সাহেদ।
অনেকে অবশ্য ভড়কে গিয়ে তার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। কামিয়েও নিয়েছেন বেশ কিছু। একে একে গড়ে তোলেন রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড (মিরপুর), রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড (উত্তরা), ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ, রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, হোটেল মিলিনা।
অভিযোগ রয়েছে, আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটি রয়েছে তার। যদিও এর একটিরও কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। আর অনুমোদনহীন আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটির ১২টি শাখা করে হাজার হাজার সদস্যের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগেও সাহেদ উত্তরার ৪, ৭ ও ১৩ নম্বর সেক্টরে ভুয়া শিপিংয়ের ব্যবসা করেছেন। সেই ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সাহেদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। মা সাফিয়া করিম ছিলেন স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী। স্থানীয়ভাবে মায়ের নাম ভাঙিয়ে শুরু হয় তার প্রতারণা। সাতক্ষীরার এক মেয়েকে প্রথমে বিয়ে করলেও তার প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তার প্রথম স্ত্রী।
সাহেদ ফেসবুকে তার নিজের পরিচয় দিয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য; ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট; রিজেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড, কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি, রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান। সেন্টার ফর পলিটিক্যাল রিসার্চ নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও চেয়ারম্যান তিনি।