fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা ১ বছর পূর্ণ হলো আজ, আটকে আছে রিফাত হত্যার বিচার
১ বছর পূর্ণ হলো আজ, আটকে আছে রিফাত হত্যার বিচার

১ বছর পূর্ণ হলো আজ, আটকে আছে রিফাত হত্যার বিচার

0

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যার এক বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। গত বছরের এই দিন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কিশোর গ্যাং বন্ড বাহিনী।

রিফাতের মৃত্যুর একদিন পর তার বাবা মো. আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী  হয়ে হত্যার অভিযোগে ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১২-১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দ্রুতগতিতে এ মামলার বিচার চলমান ছিল। তবে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিচারও থেমে যায়। তবে হত্যার পর এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক ৬ নম্বর আসামি মো মুসা বন্ড।

রিফাতের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেছে তার বন্ধুরা। পারিবারিকভাবেও রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হবে। স্বল্প পরিসরে দোয়ার আয়োজন করেছেন রিফাতের শ্বশুর মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও।

পুলিশ ও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কুপিয়ে রিফাতকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় বন্ড বাহিনী। রিফাতের উপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। দাবি ওঠে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হামলার দিন সন্ধ্যায় এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকে অন্য আসামিরা। এরই মধ্যে হামলার ছয়দিন পর ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ১৬ জুলাই নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। প্রধান সাক্ষী থেকে মিন্নি আসামি হয়ে যাওয়ায় মামলাটি ভিন্নমাত্রা পায়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যার দুই মাস ছয় দিন পর ১ সেপ্টেম্বর বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এতে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে আসামি করা হয়। সেখানে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে করা হয় ৭ নম্বর আসামি।

আদালত সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি সব প্রক্রিয়া শেষ করে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচার শুরুর জন্য মামলাটি বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠান। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৭ জনের সাক্ষ্য নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত।

আর গত ৮ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচার শুরুর জন্য মামলাটি জেলা নারী ও শিশু আদালতে পাঠান। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ব্যতিত ৭৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।

দ্রুতগতিতে প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে বিচার থেমে থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেন বাদী আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিচার থেমে আছে। দ্রুত আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়ে বিচার শেষ করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রিফাতের মা ডেইজি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সন্তান হারানোর ব্যথা কী, যার সন্তান হারিয়েছে, একমাত্র তিনি জানেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *