স্মার্টফোনের দ্বন্দ্বে যা করলো নোবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী !
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ফারহানুজ্জামান রাকিন পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার জেরে হতাশায় ভুগে আত্মহত্যা করেছেন।
গত সোমবার (৩১ মে) সকাল ১১ টার দিকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিজ বাসায় বাথরুমের শাওয়ারের সঙ্গে ডিশ তার বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
খোঁজ পেয়ে রাকিনের পরিবার স্থানীয় ডাক্তার ও আশেপাশের লোকজন ডেকে এনে দরজা ভেঙে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলামসহ ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম। তারা ময়নাতদন্তের জন্য রাকিনের লাশ ওইদিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করেন।
রাকিনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া থানার শ্রীরামপুর গ্রামে। তার বাবা মনিরুজ্জামান প্রবাসী। মা ও বোনের সঙ্গে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকতেন রাকিন।
সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরের দিকে ছোটবোনের (এইচএসসি পরিক্ষার্থী) মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে মা ও বোনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয় রাকিনের। দীর্ঘ সময় ধরে চলছিল এই দ্বন্দ্ব। রাকিনের কলেজ পড়ুয়া ছোটবোন মায়ের কাছে মোবাইল ফোন দাবি করলে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে রাকিন তার মাকে মোবাইল কিনে দিতে নিষেধ করেন। তিনি চেয়েছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর মোবাইল কিনে দিতে। এসব বিষয় নিয়েই মা ও বোনের সঙ্গে রাকিনের মনোমালিন্য হয়। যা চরম আকার ধারণ করে। তিনি তার ছোটবোনের অসদাচরণ সহ্য করতে পারেননি। একপর্যায়ে পরিবারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাজী শাহান জানান, আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন এটি আত্মহত্যা। তারা বলছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ অন্যান্য বিষয় হাতে আসলে তারা প্রকৃত ঘটনা বলতে পারবেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা।