স্বামীর দাহ করতে সাহায্য পেলেন মুসলমানদের
শ্মশানে পুড়ছে স্বামীর লাশ ! চিৎকার করে বলছেন উমা দাস, এখনো যে স্বামীর কাছ থেকে বিয়ের সার্টিফিকেট নিলাম না অথচ তার আগেই তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট নিতে হবে আমাকে! আমার সন্তান ওর বাবাকে খুঁজলে আমি কি জবাব দিব ? কেন সে আমাকে একা ফেলে চলে গেল ?
স্ত্রী উমা রানি দাস ময়মনসিংহের সহকারী জেলা ও দায়রা জজ। স্বামী ড. দেবাশীষ ঢাকার ফকিরা গ্রুপের গার্মেন্টস বিভাগের এইচআর বিভাগের প্রধান ছিলেন। তার বাড়ি সাভারের শিমুলিয়ায়। করোনার উপসর্গ নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর এসকে হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে ড. দেবাশীষ দাস (৫২) এর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর দেবাশীষের পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
স্বামীর মৃত্যুর পর বেশ ভালো বেকায়দায় পড়েন উমা রানি। শশ্মানে তাঁকে শেষকৃত্য করার মতো পরিবার কিংবা নিকটজন কেউ আসেনি ! সৎকারে নিতে হয়েছে মুসলমান ভাইদের সাহায্য। সৎকার করতে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন সমাজকর্মী ইউছুফ আলীসহ কয়েকজন সমাজকর্মী। উমা দাস এবং দেবাশীষ দাসের একটি মাত্র সন্তান, সেই পুত্রের হাতের ছোঁয়া কাঠি এনেছেন উমা রানি দাস। নিজেই তাঁর স্বামীর গোসলসহ মুখাগ্নি করলেন !
দেবাশীষের শেষযাত্রায় এমন অমানবিক হতে হবে, কাউকে সাথে পাওয়া যাবে না, এমন দৃশ্যগুলো যে শুধু উমা রানি দাসের সাথেই ঘটছে তা নয়। এমন কিছু ঘটনা ঘটছে সত্যিই মর্মান্তিক বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। উমার এই ছবি যতই ছড়াচ্ছে ততই বুক ভেঙে যাচ্ছে মানুষের। একা একজন স্বামীর সৎকারের দায়িত্ব তুলে নেন, অথচ এমনটি কখনোই হবার কথা ছিল না।
উমা রানি দাসের কান্নায় শ্মশানের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আসে। উমার এই ছবি ও ঘটনা শেয়ার করে নেটিজেনরা বলছেন, ছবিটা কষ্টে বুক ভেঙে দিচ্ছে।