fbpx
হোম অন্যান্য সূর্যের আলো আর বাতাস থেকে তৈরি হবে বিমানের জ্বালানি !
সূর্যের আলো আর বাতাস থেকে তৈরি হবে বিমানের জ্বালানি !

সূর্যের আলো আর বাতাস থেকে তৈরি হবে বিমানের জ্বালানি !

0

বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ১১ হাজার লিটার এভিয়েশন ফুয়েল বা তেল ব্যবহার হচ্ছে। এক আটলান্টিক মহাসাগর পেরোতেই একটি বিমান সেকেন্ডে প্রায় এক লিটার তেল পোড়ায়। অর্থাৎ ঘণ্টায় তিন হাজার লিটার। তাই জ্বালানি পোড়ানোর ঝামেলায় না গিয়ে সহজ পদ্ধতির কথা ভাবতে শুরু করলেন গবেষকরা।

এবার সূর্যরশ্মিকে কাজে লাগিয়ে শুধু বাতাস থেকে বিমান চালানোর জ্বালানি উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। জার্মানির জুরিখ শহরের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ লক্ষ্যেই গবেষণা চলছে। ছাদের ওপর এক বিশেষভাবে তৈরি সৌরচুল্লি বসানো হয়েছে, যা সূর্যের ঘনীভূত রশ্মির সাহায্যে চারপাশের বাতাস থেকে জ্বালানি সৃষ্টি করে। সেটি আডো স্টাইনফেল্ড ও তার ছাত্রছাত্রীদের সেরা সৃষ্টিকর্ম। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই টিম সেই যন্ত্র নিয়ে কাজ করছে। সূর্য, বাতাস ও পানি থেকে জ্বালানি তৈরির তত্ত্ব যে সত্যি কার্যকর হতে পারে, এই প্ল্যান্ট তার সাক্ষাৎ প্রমাণ।

বিরল এ গবেষণার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাতাস শুষে নেয়া হয় এবং তার মধ্য থেকে পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইড সংগ্রহ করা হয়। তারপর আয়না বসানো ডিশে সূর্যের রশ্মি পুঞ্জীভূত করা হয়। এভাবে দুটির মধ্যে একটি রিঅ্যাক্টরকে দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত করা হয়। এ দুই চুল্লির মূলে রাখা এক ক্যাটালিটিক কনভার্টার রূপান্তরের প্রথম ধাপ সম্ভব করে।

স্পঞ্জের মতো বৈশিষ্ট্যের এ কনভার্টারের ওপর সেরক্সাইড নামের বিরল ধাতুর প্রলেপ থাকে। এর মাধ্যমে পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইডের উপাদানগুলো বিভক্ত করে আবার নতুন করে জোড়া দেওয়া হয়। ফলে তথাকথিত ‘সিনগ্যাস’ সৃষ্টি হয়। জুরিখের এ প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে স্পেনে আরো বড় পরীক্ষামূলক প্ল্যান্ট চালু করেছে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *