সিরাজগঞ্জে একদিনে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে একদিনে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার ২ জন, শাহজাদপুর উপজেলার ২ জন ও বেলকুচি উপজেলার ১ জন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৬ জুন) বিকাল ৪টায় সিরাজগঞ্জের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চর-আঙ্গারু গ্রামের আমানত হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। তৎক্ষনাৎ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে একই সময় উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া দক্ষিণ পাড়ার জালাল প্রামাণিকের ছেলে আলহাজ প্রামাণিক ওরফে আলহাজ বাবর্চি (৫৫) তার স্ত্রীর সাথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে শুকাতে দেওয়া খড় আনতে গেলে বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয় পিপিডি ট্রাস্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষনা করেন।আলহাজ পেশায় একজন বাবুর্চি ছিলেন। বাবুর্চি হিসেবে এলাকাজুড়ে তার বেশ সুনাম ছিল। উল্লেখ্য, এ নিয়ে শুধুমাত্র শাহজাদপুর উপজেলাতেই ২৪ মে থেকে ৬ই জুন পর্যন্ত গত ১২ দিনে বজ্রপাতে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।
উল্লাপাড়া উপজেলায় নিহতরা হলেন, সলঙ্গা ইউনিয়নের আঙ্গারু গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৩) এবং উধুনিয়া ইউনিয়নের আগদিঘল গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে নবম শ্রেনীর ছাত্র ফরিদুল ইসলাম (১৫)। উধুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, ফরিদুল মাঠে কাজ করছিলো। বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ি ফেরার পথে আগদিঘল গ্রাম কবরস্থানের কাছে পৌছালে বজ্রপাতের কবলে পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ কিশোরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অপরদিকে সলঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আকমল হোসেন বাদশা জানান, রফিকুল ইসলাম হাসের খামার নিয়ে ধরাইল বিলে অবস্থান করছিলো বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরসমেশপুর গ্রামে বৃষ্টি সময় মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতে ইউসুফ আলী স্ত্রীর মৃত্যু হয়। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।