সাহেদ কাণ্ড ২: বাকিতে নেয় ৭ হাজার বস্তা সিমেন্ট , এরপর ?
সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ ওরফে শহীদ। প্রতারণার জাদুকর। তার প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক ব্যক্তি পথে বসলেও কখনোই থেমে ছিলেন না তিনি। বরং একের পর এক নিপুণ শৈলীর প্রতারণা করে তা উৎরে গেছেন অবলীলায়। বাগিয়ে নিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের তকমা। এরপর থেকে দিন দিন বেড়েই চলছিল তার ক্ষমতার দাপট।
ছোট ছোট প্রতারণা করলেও শাহ সিমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণা দিয়েই প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানির সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক প্রতারণা শুরু। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে শাহ সিমেন্ট কোম্পানির কাছ থেকে সাত হাজার বস্তা সিমেন্ট বাকিতে নিয়েছিলেন মো. সাহেদ।
শাহ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষকে তার দেওয়া সেই ব্যাংক চেক বাউন্স করেছিল। হাজার হোক সাবেক সেনা কর্মকর্তা ! তাই তার বিরুদ্ধে শুরুতে মামলায়ও যায়নি শাহ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। ঠিক কিছুদিন পরই ট্রান্সকম লিমিটেডের সঙ্গে এসি কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাহেদকে কাফরুল থানায় গ্রেফতার করার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় শাহ সিমেন্ট কর্তৃপক্ষসহ আরও ছোট-বড় ২৫টি কোম্পানির প্রতিনিধি।
সবার সঙ্গেই সাহেদ প্রধানমন্ত্রীর এডিসি, সাবেক সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। তবে তাদের কেউই ওই বিষয়টি যাচাই-বাছাই না করার কারণে বহাল তবিয়তেই রয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ডানা মেলছিল তার প্রতারণার পাখার।
তবে ওয়ান ইলেভেন-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও প্রতারণার পাখা ডানা মেলে সাহেদের। পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক প্রতারণায় বহু মানুষকে পথে বসিয়েও বাগিয়ে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদ।