fbpx
হোম রাজনীতি সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়াশিল্প ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে : রিজভী
সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়াশিল্প ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে : রিজভী

সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়াশিল্প ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে : রিজভী

0

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়াশিল্পকে ধ্বংস করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটার কারণ হচ্ছে অন্য কাউকে সুবিধা দেয়া। অন্য কোনো দেশে চামড়াশিল্পের বিকাশ ঘটানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে সরকার দেশের চামড়াশিল্পকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে।’

শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রামে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, ‘এই সরকার যে গরিবকে পিষে মারার সরকার, তা তারা প্রমাণ করেছে। কয়েক বছর আগেও আমরা দেখেছি কোরবানির পশুর চামড়া ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, দেড় হাজার-দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে ছাগলের চামড়া। এবার টাকা তো দূরের কথা, কেউ কেনার জন্যও আসেনি এবং চামড়াশিল্পের বিকাশ ঘটানোর জন্য যে ঋণের কথা বলা হয়েছিল, সরকার সে ঋণ দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘যেসব হালাল পশু কোরবানি দেয়া হয় তার চামড়া বিক্রি করে গরিব মানুষ ও এতিমদের দেয়া হয়। এটি হচ্ছে নিয়ম। যা যুগের পর যুগ শতাব্দীর পর শতাব্দী গরিবের হক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান সরকার, যারা দিনের বেলা ভোট করতে ভয় পায়, রাতের অন্ধকারে ভোট করে, সেই সরকারের কোনো নীতি যে জনগণের পক্ষে প্রণীত হবে না এটাই স্বাভাবিক।’

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ‘মানুষ এবার চামড়া বিক্রি করতে না পেরে নদীতে ফেলে দিয়েছে, মাটিতে পুঁতে রেখেছে। অথচ এই চামড়া কেনার জন্য ঈদের কয়েকদিন আগে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে যারা কোরবানি দিতো তাদের সাথে চুক্তি করতো ক্রেতারা। তাদের অনুরোধ করা হতো কোরবানির চামড়া যেন তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এবার সে ধরনের কোনো লোক পাওয়া যায়নি। ফলে চামড়াশিল্পের ওপর যেমন আঘাত এসেছে, পাশাপাশি এই চামড়া বিক্রি করে গরিবদের যে সহযোগিতা করা হতো সেটা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। অর্থাৎ গরিবের হক আদায় করা হয়নি, হক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই বঞ্চনার মূল কারিগর হচ্ছে বর্তমান সরকার। তাদের নীতির কারণে এই শিল্পটি আজ ধ্বংস হয়েছে এবং চামড়ার দাম শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *