শীতের তীব্রতা বিপাকে ফেলেছে হতদরিদ্রদের
গাইবান্ধায় এবার পৌষের শুরুতেই অকল্পনীয় শীতের তীব্রতা বিপাকে ফেলেছে হতদরিদ্রদের। কোনমতে দিন গেলেও মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে শীতের রাত।
শনিবার দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় বিকেলে কম টাকায় গরম কাপড় কিনতে শহরের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ছিলো উপচে পড়া ভিড়।
তারা বলেন, টাকা পয়সার সংকট। তাই এখান থেকে কিনছি। কাপড়ের দাম কিছুটা কম আছে।
সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গ্রামীণ জনপদ। তার উপর পশ্চিমা বাতাসে কাহিল প্রায় গ্রামের মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য খড়কুটোর আগুনে হাত পা সেঁকতে বসেন নানা বয়সী মানুষ।
তারা জানান, শীতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক বাতাস। কুয়াশার জন্য কিছুই করা যাচ্ছে না।
ঠান্ডার কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই লোকসমাগম কমে যায় শহরে। জীবিকার প্রয়োজনে শহরে পড়ে থাকা কর্মজীবি মানুষের ভিড় জমে ওঠে গাইবান্ধার ঐতিহ্যবাহী চিতই পিঠার দোকানগুলোতে।
পিঠা ক্রেতারা বলেন, গরম গরম পিঠা খেতে ভালো লাগে। শরীর গরম হয় কিছুটা।
এদিকে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের শীতের কষ্ট লাঘবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন।
তিনি বলেন, বরাদ্দ থেকে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারের কাছে আরো কম্বল চাওয়া হয়েছে।
মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে গত মঙ্গলবার থেকে প্রচন্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়ে উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার নিম্ন আয়ের মানুষ।