লালমনিরহাটে ১টিতে বিদ্রোহী, অন্যটিতে নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত
সারাদেশে চতুর্থদফায় ৫৬ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনে লালমনিরহাট পৌরসভায় আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেনকে পরাজিত করে যুবলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন ও জেলার পাটগ্রাম পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সুইট মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
গতরাতে লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে পৌর নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ জেলার দু’টি পৌরসভার লালমনিরহাটে স্বপন ও পাটগ্রামে সুইটকে বেসরকারিভাবে মেয়র ঘোষণা করেন।
নির্বাচন অফিস সুত্র মতে, লালমনিরহাট পৌরসভায় আ’ লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকে রেজাউল করিম স্বপন পেয়েছেন ১১,০৩৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৯,০৫৫ ভোট। এছাড়াও মোশারফ হোসেন রানা ধানের শীষ ৫,১০৮ ভোট, জাপা নেতা সেনা লাঙ্গল প্রতীকে ১৯৭১ ও হাতপাখা ৮৭০ ভোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে,পাটগ্রাম পৌরসভায় ৯ টি ওয়ার্ডের ২১ হাজার ৮৫৫ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম সুইট নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬১১ ভোট।তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল পেয়েছেন ২ হাজার ২ ‘শ ৫১ ভোট।
অন্যদিকে পাটগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৬০৪ টি।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাই পীর প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৫০ টি।
লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্র মতে, অবাধ সুষ্টু নির্বাচন হয়েছে। ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে পাটগ্রামে প্রায় ৯৫% ভোট কাস্টিং হয়েছে। তবে উভয় পৌরসভায় প্রার্থী ও প্রার্থীদের নেতাকর্মীরা ভোট কারচুপির অভিযোগ তুললেও এখন পর্যন্ত কেউই এনিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেননি।