লালমনিরহাটে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী
গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণের প্রভাবে তিস্তা ও ধরলা নদীর আশপাশ প্লাবিত হয়ে লালমনিরহাটে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানির প্রচন্ড গতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার। ফলে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
ব্যারেজের কন্ট্রোলরুম থেকে জানা যায়, ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে । ফলে তিস্তার পানিতে পাটগ্রাম উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের এলাকার প্রায় ১০/১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তার পানি প্রবাহ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’