লালবাগে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর লালবাগে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাল টাকা, জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম ও চক্রের মূল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে জাল নোট ব্যবসায়ীরা বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়।
তথ্য যাচাই করে লালবাগ থানার কাশ্মীরি লেন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কাশ্মীরি লেনের একটি বাসা থেকে ২৫ লাখ জাল টাকার নোট ও চক্রের মূলহোতা বাবুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়িটির তৃতীয় এবং ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির ঘরোয়া কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় বাড়ির তৃতীয় এবং ষষ্ঠ তলা থেকে বাকি জাল টাকাসহ আরো পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে বাবুল শেখ, লিমা আক্তার রিনা, ইব্রাহিম শেখ, আফাজুল ওরফে রাসেল, হাবিবুল্লাহ, দুল্লাল হোসেন ওরফে ইকবাল, সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি, মিলি ও আল্পনা আক্তার রিপি।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৮২ লক্ষাধিক জাল টাকা, জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, জলছাপযুক্ত বিশেষ কাগজ, বিভিন্ন রকমের মনোগ্রাম সম্বলিত স্ক্রিন, ডাইস, বিভিন্ন রং, কাগজ কাটার যন্ত্র, কাচি, চাকুসহ জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি ঈদকে সামনে রেখে প্রায় ৩ কোটি জাল টাকার নোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল। চক্রটির মূলহোতা বাবুল শেখ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল।
কিন্তু সে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় একই কাজে জড়িয়ে পড়ে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে লালাবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।