লাদাখে যুদ্ধ প্রস্তুতি, ঘাতক বাহিনী মোতায়েন
১৫ জুন রাতে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের পর পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে নজরদারি বাড়িয়েছে চীন ও ভারত। চলছে ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি। উঁচু পাহাড়ে ঘেরা দুর্গম সংঘাতের ক্ষেত্রগুলোতে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা ও কমান্ডো বাহিনীকে।
চীনা মার্শাল আর্টস বাহিনী মোতায়েনের খবরের একদিন পর জানা গেছে, ভারতীয় সেনার ঘাতক বাহিনী বলে পরিচিত স্পেশাল কমান্ডোদের বিতর্কিত সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে লাদাখে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় দুটি প্যারা কমান্ডো ইউনিটকে। এরমধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং দ্বিতীয়টি ইনফ্র্যান্টি ব্রিগেডের সঙ্গে ছিল। পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত সাত ব্যাটালিয়ন সেনাও।
বিভিন্ন রিপোর্টে জানা গেছে, কর্নাটকের বেলগামে ৪০ দিনের বেশি সময় ধরে ট্রেনিং দেয়া হয় ঘাতক বাহিনীর কমান্ডোদের। দুর্গম এলাকায় অভিযানের জন্য শারীরিক ক্ষমতা ও ক্ষিপ্রতা বাড়াতে কড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের সময় ৩৫ কেজি ওজন কাঁধে নিয়ে ৪০ কিলোমিটার দৌড়াতে হয় এই কমান্ডোদের। বিশেষ হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাটের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই কমান্ডোদের প্রত্যেকেই মার্শাল আর্টে দক্ষ। ঘাতক কমান্ডো ইউনিটের প্রতিটিতে অতিরিক্ত রিজার্ভ দলও প্রস্তুত রাখা হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহের ভেতর চীনা সেনাবাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসি বরাবর অন্তত চার জায়গা অতিক্রম করে অবস্থান নিয়েছে।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, যে সীমানা রেখা চীন ও ভারতকে আলাদা করেছে তার পুরোটাই বিতর্কিত। কারণ দু’দেশই দাবি করছে এটি তাদের অঞ্চল। আর এটিই গ্রামবাসীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কখন চীনের সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ে তা নিয়ে আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন।