রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গঠন হচ্ছে ত্রিপাক্ষিক ওয়ার্কিং কমিটি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গঠন করা হচ্ছে বাংলাদেশ-চীন-মিয়ানমার ত্রিপাক্ষিক ওয়ার্কিং কমিটি। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চীনের মধ্যস্ততায় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে পুরো অঞ্চলে উগ্রবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন তিন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার, দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। প্রায় ঘণ্টা খানেকের বৈঠকে সংকটের টেকসই সমাধানে প্রত্যাবাসন শুরু না হলে এ অঞ্চলে উগ্রবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা প্রকাশ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, চীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে পুরোপুরি একমত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীনে গিয়েছিলেন সে কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের দেশ এবং মিয়ানমার মনে করে এই সমস্যার সমাধান না হলে অত্র এলাকায় উগ্রবাদ সৃষ্টি হবে।
এজন্য দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসানের তাগিদ দিয়ে এবার ওয়ার্কিং কমিটিতে যুক্ত হয়েছে চীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, চীন একটা প্রস্তাবনা দিয়েছে চীন-বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার মিলে। সে প্রস্তাবনায় মিয়ানমারের কিছু আপত্তিও রয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা মোটামুটি রাজিও হয়েছে।
এর আগে চীনের অনানুষ্ঠানিক মধ্যস্থতায় দু’দফা ঠিক হয়েছিল প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ, যদিও ফেরেনি একজন রোহিঙ্গাও। এমনকি মিয়ামারের সাথে দ্বিপাক্ষিক অ্যারেঞ্জমেন্ট সই করেও ফল পায়নি বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন আর রাশিয়ার বিরোধিতায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন প্রস্তাবও পাশ হয়নি নিরাপত্তা পরিষদে।